প্রজ্ঞাপন জীবন বৃদ্ধিদ মাসিক ই-পত্রিকা ডিসেম্বর ২০২২ পুরাতনকে পূরণ করেই নতু নের হয় শুরু, বিবর্ত নী পুরুষোত্তমই সবার জীবন মেরু। a dharmakatha.org initiative Dec 2022-Vol-3/No-12
১ সম্পাদকীয় কালের যাত্রা শ্রী প্রীতিগোপাল দত্তরায় ২০২২ সালকে এ বার যেতে দিতে হবে। পুরোনো কোনও কিছুকেই ছাড়তে মন চায় না। মায়া পড়ে যায়। মায়া অতি বিষম বস্তু। কিন্তু তবু শুনিতেছি একমাত্র মর্মান্তিক সূর যেতে দিতে হয়। কালের কঠিন নিয়ম অমান্য করার সাধ্য কোথায়! ‘যেতে আমি দিব না তোমায়’! ধরণীর এক দিকে অবুঝ মায়া এবং প্রেমের নিবিড় প্রান্ত হতে নীলাভ্রের সর্বপ্রান্ততীর আবেষ্টন, অন্য দিকে কালের অনিবার্য আকর্ষণ – এ-দু’য়ের মধ্যে অনাদ্যন্ত নিত্যদ্বন্দ্ব বিশ্বের ধ্বনিতেছে চিরকাল অনাদ্যন্ত রবে, চরাচরে অনুরণিত। প্রেমের আলিঙ্গন কাছে টেনে ধরে রাখতে চায়, বলে যেতে নাহি দিব। কালের ‘যেতে নাহি দিব। যেতে নাহি দিব।‘ সবে মহাকর্ষ কেড়ে নিয়ে দূরে ফেলতে চায়। প্রেমের কহে, ‘যেতে নাহি দিব।‘ তৃণ ক্ষুদ্র অতি শক্তি কেন্দ্রাভিমুখী, কালের শক্তি কেন্দ্রাতিগ। বিশ্বের এই দুই মহাশক্তির সংঘাতে শেষ পর্যন্ত তারেও বাঁধিয়া বক্ষে মাতা বসুমতী প্রেমের আদর-আব্দারকে কালের আদেশে সংযত হতে হয়। তাই কিছুই চিরকাল ধরে রাখা যায় না। কহিছেন প্রাণপণে, ‘যেতে নাহি দিব।‘ সবাইকেই যেতে দিতে হয়। কালের কাছে প্রেমের আয়ুক্ষীণ দীপমুখে শিখা নিব-নিব – অসহায় আত্মসমর্পণের চিরন্তন বিষণ্ণতা অপূর্ব আঁধারের গ্রাস হতে কে টানিছে তারে, কাব্যসম্বেদনে ধরা পড়েছে রবীন্দ্রনাথের “সোনার তরী” গ্রন্থের “যেতে নাহি দিব” কবিতায়। – কহিতেছে শতবার ‘যেতে দিব না রে’। এ অনন্ত চরাচরে স্বর্গমর্ত ছেয়ে কী গভীর দুঃখে মগ্ন সমস্ত আকাশ, সমস্ত পৃথিবী! চলিতেছি যতদূর সব চেয়ে পুরাতন কথা, সব চেয়ে গভীর ক্রন্দন ‘যেতে নাহি দিব’। হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়। চলিতেছে এমনি অনাদিকাল হতে। প্রলয়সমুদ্রবাহী সৃজনের স্রোতে প্রসারিত-ব্যগ্রবাহু জ্বলন্ত-আঁখিতে ‘দিব না দিব না যেতে’ ডাকিতে ডাকিতে হূহূ করে তীব্রবেগে চলে যায় সবে পূর্ণ করি বিশ্বতট আর্ত কলরবে। সম্মুখ-ঊর্মিরে ডাকে পশ্চাতের ঢেউ ‘দিব না দিব না যেতে’। নাহি শুনে কেউ, নাহি কোনো সাড়া।।
২ কালের এই মহাশক্তি বিশ্বসৃষ্টির এক মহাসত্য, কাল চিরকাল এগিয়েই চলেছে, না কী ক্রমাগত একটি মৌলিক বিজ্ঞান। কিন্তু কাল আমাদের কাছে অদৃশ্য। সৃষ্টির আর-এক মহাশক্তি প্রেমও পিছিয়ে যাচ্ছে, না কী আগু-পিছু ছন্দে দুলছে, – এক অর্থে অদৃশ্য। তবু প্রেমকে আপন সত্তা দিয়ে তা হলফ করে বলা একপ্রকার অসম্ভব। কারণ অনুভব করা যায়। কিন্তু কাল? কাল বা সময়কে আমরা দেখি না, তার কথা আমাদের কাছে কালের ধারণা আপেক্ষিক। শোনা যায় না, তাকে স্পর্শ করতে পারি না। সময়ের রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধ কিছুই আমাদের জানা জানুয়ারি মাসে বছরের শুরু ধরে নিলে নেই। সময়কে নিজের অন্তরে অনুভব বা আস্বাদন করা যায় না। কিন্তু কালের অস্তিত্ব ক্যালেন্ডারের গণিত মেনে ডিসেম্বরে বছরের সম্বন্ধে আমাদের বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এই অস্তিত্ব নৈর্ব্যক্তিক – ধরা-ছোঁয়ার বাইরে, – কিন্তু শেষ। একমাত্র এই শর্তানুসারে আমরা আগামি কদাচ অবাস্তব নয়। কালের অস্তিত্বের বাস্তব পরিচয় আমরা পাই তার অনিবার্য প্রভাব থেকে। ৩১শে ডিসেম্বর ২০২২-কে বিদায় জানাতে এই বিশ্বদুনিয়ার সুবিশাল স্থান (space) জুড়ে অবস্থিত যে অগণিত বস্তু, তাদের উপর কালের পারি। কিন্তু যদি এপ্রিল থেকে বছরের গণনা সুস্পষ্ট প্রভাব থেকে কালের অস্তিত্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণা হয়। অনেকটা যেন ছায়া দেখে শুরু করা হত, তা হলে ২০২৩-এর মার্চ মাস কায়া চেনার মতো। কিংবা বলা যায়, ‘ডার্ক ম্যাটার’ ও ‘ডার্ক এনার্জি’-র মতো – যাদের ধরা পর্যন্ত হত বছরের আয়ু – যেমন হয় আর্থিক যায় না, কিন্তু বস্তুর উপরে তাদের প্রভাব থেকে বছরের ক্ষেত্রে। অনুমান করা যায়। একটি ফুল কুঁড়ি হয়ে ফুটে ধীরে ধীরে তার সব ক’টি পাঁপড়ি মেলে ধরে, বিজ্ঞানীরা আবার ‘সমান্তরাল বিশ্ব’-এর তারপর ধীরে ধীরে শুকিয়ে মাটিতে ঝরে পড়ে। অস্তিত্বের ধারণা করছেন। আমরা যে-বিশ্বের কুঁড়ি-থেকে-ঝরে-পড়া ফুলের জীবনের এই অনিবার্য পরিবর্তন ও পরিণতি দেখে আমরা বাসিন্দা, তার নিয়মকানুন ও বিজ্ঞান সমান্তরাল কালের অস্তিত্ব টের পাই। এই যে ২০২২ সালটা শেষ হতে চলেছে, তার থেকে আমরা বুঝি কাল বিশ্বে অচল। সেখানে সময়ের গতি আমাদের এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের নিরিখে বিপরীত। আমাদের বিশ্বে কাল অতীত থেকে বর্তমান হয়ে ভবিষ্যতের দিকে সময় ছুটছে। কালের এই গতিমুখকে ‘সোজা’ ধরলে, সমান্তরাল বিশ্বে কালের গতি ‘উলটো’ – ভবিষ্যৎ থেকে অতীতের পানে। এমন আজব দুনিয়া (আমাদের দুনিয়ার সাপেক্ষে) আদৌ আছে কী না, জানি না। তবে ‘ম্যাটার’-এর সঙ্গে যেমন ‘অ্যান্টি-ম্যাটার’, তেমনই বিশ্বের সঙ্গে তার সম-বিপরীত সত্তা ‘সমান্তরাল বিশ্ব’-এর অস্তিত্বের সম্ভাবনাকে সরাসরি প্রত্যাখ্যানও করা যায় না।
৩ বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে বেশ কিছু প্রশ্ন কালকে জয় করা – অর্থাৎ কালের করেছিলেন। একটি প্রশ্ন ছিল – কা বার্তা? – খবর স্বাভাবিক নিয়মকে অতিক্রম করে কালকে কী? উত্তরে যুধিষ্ঠির বলেছিলেন – কালঃ পচতি, নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার উদাহরণ আমরা ইতি বার্তা। পৃথিবীর এই মোহময় কড়াইতে পাই হনুমানের সূর্যকে বগলদাবা করার সূর্যরূপ অগ্নিদ্বারা, দিবারাত্রিরূপ কাষ্ঠ দ্বারা, চিত্রে। শ্রীশ্রীঠাকু র বলেন, ওর বাস্তব অর্থ মাসঋতুরূপ হাতাদ্বারা ঘাঁটিয়া কাল বা সময় হল হনুমান কালকে জয় করে সময়ের জীবগণকে পাক করছে, এই হল বার্তা। অর্থাৎ আগে কার্যসিদ্ধির কৌশল আয়ত্ত কালের গতি যেমনই হোক, কালই যে আমাদের করেছিলেন। আর এই যোগ্যতা তিনি অর্জন ভবিতব্য নির্ণয় করে চলেছে, এটাই পরম সত্য। করেছিলেন প্রভু শ্রীরামচন্দ্রের প্রতি অকাট্য এই সত্যের হাত থেকে নিস্তার নেই কারও। অব্যভিচারী বৃত্তিভেদী সক্রিয় ভক্তি থেকে। কল-ধাতুর অর্থ গণনা, সংখ্যায়ন, পরিমাপন। আশ্চর্য লাগে যখন দেখি, আধুনিক কাল হল সেই পরিমাপনী শক্তি বা মায়া (মা- কোয়ান্টাম তাত্ত্বিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরাও ধাতুর অর্থও হল পরিমাপ করা) যা বিশেষ ভাবে দেখেন সময়ের ভিতর দিয়ে এগিয়ে বা মেপে নানা নাম-রূপ-ব্যবহার-সমন্বিত বিশিষ্ট পিছিয়ে যাওয়া সম্ভব। সত্তার অনন্ত উৎসারণ সম্ভব করেছে এবং করে পদার্থবিদ্যা, কোয়ান্টাম তত্ত্ব, মহাকাশবিদ্যা, চলেছে। জগৎ-সংসারের এই বিপুল বিচিত্র জেনেটিক্স – ইত্যাদি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিকাশ, সৃষ্টির সকল বস্তু, সকল অস্তিত্ব এই মায়ার শাখায় অত্যাধুনিক গবেষণার দিকে নজর অধীন, কালের দ্বারা নিয়মিত। তাই কালকে বলা করলে আশা জাগে, শ্রীশ্রীঠাকু র ধর্ম-দর্শন- হয় নিয়ম বা যম। বিজ্ঞানের সামগ্রিক সমন্বয়ে যে ‘চরম তত্ত্ব’- তবে কালের অধিকারও অবিমিশ্র অসীম অনন্ত এর ইঙ্গিত দিয়েছেন, মানবভু বন অতি নয়। সৃজন-প্রগতি-পরিক্রমায় একটা পর্যায়ে সন্তর্পণে সেই অভীষ্টের দিকেই এগিয়ে কালের অস্তিত্ব ছিল না। বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির বিশেষ চলেছে। ২০২২-এর জীর্ণ বৎসর কালের একটি স্তরে বা পর্যায়ে কালের সৃষ্টি। কালের ব্ল্যাক হোলে অত্মবিলয় করতে উদ্যত। অধিকার সিদ্ধ শুধুমাত্র প্রকাশের জগতে। কালের তাকে আমাদের সকৃ তজ্ঞ প্রণাম। সামনে নিয়ম এই জগৎ-সংসারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু ২০২৩, ২০২৪, ২০২৫ …। আমরা যেন সমগ্র সৃষ্টির পরমকারণ যিনি – প্রতিটি অস্তিত্বের সতর্ক পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে পারি। অকু ণ্ঠ অন্তঃস্যূত ধারণপালনী সম্বেগ – তিনি কালাতীত নিষ্ঠায় ও ভক্তিনত চিত্তে চরম তত্ত্বকে গ্রহণ পুরুষ। তিনি কালাধীশ। কাল সেই পরমকারণের করার জন্য প্রস্তুত হতে পারি। নিয়ন্ত্রণাধীন। পরমকারণ-পুরুষের সঙ্গে নিত্যযোগ কালাধীন অস্তিত্বকেও কালের নিয়মন-অধিকার থেকে মুক্ত করে কালাধীশ করে তোলে। এই কালজয়ী মহাযোগসাধনার সিদ্ধিমার্গ হল – পরমকারণের ব্যক্ত বিগ্রহ ইষ্টে সর্ববৃত্তি সমর্পণ, ইষ্ট ও ইষ্টস্বার্থে সর্ববৃত্তি বিনায়ন, ইষ্টে সমগ্র অস্তিত্বের সন্ন্যাস। “সেই তো যোগী, সেই সন্ন্যাসী – কাল নত যার ভয়ে।“
৪ অযাচিত কবিতা শ্রী সুখেন্দু পানি গ্রীষ্মের পরে বর্ষা আসে সময় মত শীতও আসে বসন্তেরও সমাগম হয় সময় মতই, ভোরের আকাশে সূর্য ওঠে গোধূলি বেলায় অস্তাচলে যায়, দিনের পর রাত আসে রাতের আকাশে চাঁদও ওঠে নিজস্ব নিয়মে অমাবস্যা ও পূর্ণিমার আবর্তন ঘটে নদী আপন বেগে বয়ে যায় সমুদ্র নিজের মত করে উত্তাল হয় সময় মতই তরু শাখা পল্লবিত হয় ফুল ফোটে, ফল ধরে, পাতা ঝরে, পশু পাখি, জীবজন্তু সকলেই নিজস্ব নিয়মে বাঁধা রয়েছে অযাচিত তাদের চলমানতা। মানুষই একমাত্র জীব যার নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি নিজেরই হাতে চাইলেই বিবর্তনের পথ ধরে চলতে পারে চাইলেই ধ্বংসের অতল তলায় তলিয়ে যেতে পারে অনায়াসে।
৫ কবিতা নিঃশব্দে শ্রীমতী শ্রীধারা দাস এই মোহ নিশি পোহাইবে যবে, ঘোর ঘনঘটা দূর হয়ে যাবে – উঠিবে নতু ন সূর্য। সেদিন আবার নতু ন সূর্যে পাখ পাখালীরা পরম ধৈর্যে, গাহিবে প্রভাতী গান।। যেমন সেদিন কারাগার হতে শিশু হরি যান নন্দের হাতে, কংসের বেলা করিতে যে অবসান। পুরাতন সেই সূর্য আজিও প্রাণে প্রাণ দিয়ে জীবন পূরণে, সবুজেতে আর ঘন নীল এই গগনে।। এখনও সূর্য, এখনও চন্দ্র – এক আকাশে উঠে, এখনও তারারা, গ্রহ নীহারিকা ছন্দে দৃশ্যমান।
৬ কাহার লাগিয়া এমন ভু বন এমন জীবন, এ হেন মরণ – মনের অতল গভীরেতে কার জাগরণ? দেখিয়া দেখিয়া, শুনিয়া মানিয়া – কারণ তাহার কিছু না জানিয়া চিত্ত মাঝারে তব প্রেম হয়ে জাগে।। তাইতো এ ধরা অপরূপ বলে গান গায় কবি মন প্রাণ ঢেলে – সে সুর পরশে জাগে জগতের প্রাণ।। অবোধ আমি যে, পারিনা বুঝিতে কেন এ হেন জগৎ সাজাতে প্রাণ করে আনচান।। দিতে চাই মোর সবটুকু ঢেলে যা কিছু দিয়েছো, রহিয়া আড়ালে হও গো দৃশ্যমান।। তোমারে যে দিব, মোর সব চাওয়া এ জগৎ মোর, তোমা হতে পাওয়া দিতে পারি যেন সবটুকু মন প্রাণ। লহ প্রণাম।। লহ প্রণাম।।
৭ জীবন জিজ্ঞাসা প্রশ্নোত্তরে যাজন প্রশ্ন ১ঃ আমাকে কেউ যখন খুব কষ্ট দেয়, প্রশ্ন ৩ঃ শ্রীশ্রীঠাকুর কেন থানকুনি পাতা খেতে আঘাত দেয়, তখন আমার খুব কষ্ট হয় রাগ হয়, বলেছেন? এর থেকে বেরোনোর পথ কি? উত্তরঃ থানকুনি পাতার অনেক ভেষজ গুণ উত্তরঃ যতক্ষণ মানুষ নিজের প্রীতির চিন্তা করে আছে। তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে এটি শরীরে ততক্ষণ দুঃখ, যন্ত্রণা, রাগ, মান ও অভিমান জমে থাকা জারক পদার্থ বা টক্সিন বের করে থাকে। কিন্তু যখনই মানুষ ইষ্টের প্রীতিকে মুখ্য দেয় প্রস্রাবের সাথে। এর ফলে শরীরে কোনও করে চলে তখনই তার আত্মজ্ঞান হয়। সে রোগ বাসা বাঁধবার সুযোগই পায় না। তাই এটি প্রেমের শরীর লাভ করে। তিনি আমাদের প্রতিদিন নিয়মিত খেতে বলেছেন। প্রশ্ন ২ঃ আমরা যখন যাজন করতে যাই অনেকে প্রশ্ন ৪ঃ প্রেম কর কিন্তু আসক্ত হয়ো না - মানে বলেন আমরা কৃষ্ণ মন্ত্রে দীক্ষা নিতে চাই, এখন কি? তাদের কি বলা উচিত যদি একটু বুঝিয়ে উত্তরঃ সৎ এ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চিত্তকে সংলগ্ন বলেন? রাখার নাম প্রেম। আর বিষয়ে চিত্তকে সংলগ্ন উত্তরঃ দ্বাপর যুগে পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণ যখন রাখার নাম আসক্তি। জীবন নিত্য প্রবহমান। আর এসেছিলেন তখন মানুষ এত বেশি দুরাচারী এই জীবনে প্রতিনিয়ত দুঃখ, যন্ত্রণা, বিষাদ, ছিল না। যুদ্ধ বিগ্রহেও মানুষ কিছু নীতি মেনে আনন্দ ইত্যাদি ঢেউয়ের মত আছড়ে পড়ে। চলতো। তখনকার প্রয়োজন মাফিক তিনি এখন এই ঢেউগুলোর আঘাতে মন নিয়ত মানুষের চলার পথ নির্দিষ্ট করেছিলেন। আর অবিচ্ছিন্নভাবে লেগে থাকতে পারে না সৎ এ। তিনি গীতাতে বলেছেন - \"যখনই ধর্মের গ্লানি তাই শ্রীশ্রীঠাকুর এখানে আমাদের সাবধান হবে তিনি আসবেন\"; পরবর্তী কালে যখনই করছেন সব অবস্থার মধ্যেই যেন গন্তব্য অভিমুখে ধর্মের গ্লানি হয়েছে তিনি এসেছেন এবং আমাদের চলাটা নিরন্তর হয়ে ওঠে। কোনও তদানীন্তন কালের অবস্হানুযায়ী মানুষের চলার বিষয়ে চিত্তকে সংলগ্ন করে আমাদের চলাটা যেন পথ নির্দিষ্ট করে গেছেন। এ যুগে শ্রীশ্রীঠাকুর মন্থর না হয়ে যায়। অনুকূলচন্দ্র রূপে এসে তিনি এখনকার অবস্হানুযায়ী চলার পথ দেখিয়ে গেছেন। প্রশ্ন ৫ঃ ধর্মের প্রকৃত স্বরূপ কি? আমরা আমাদের সাধারণ মোবাইল ফোনটাকে উত্তরঃ যেভাবে চললে আমাদের অস্তিত্ব অব্যাহত নিরন্তর আপডেট করে চলেছি আর সদগুরু বা থেকে নিরন্তর বর্দ্ধনমুখী হয়ে চলে তাই ধর্ম। জীবন নিয়ন্তা সম্বন্ধে ভাবছি কি করবো? এক কথায় ধর্ম মানে স-পারিপার্শ্বিক বাঁচা-বাড়া। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণেরই আমরা কিছু আচার অনুষ্ঠানকে ধর্ম বলে মনে যুগোপযোগী বিবর্তিত রূপ। এ যুগে তিনিই করি। কিন্তু যে আচার অনুষ্ঠানগুলো সত্তাপোষণী গ্রহণীয় ও অনুসরণীয়। নয় তা ধর্ম বলে আখ্যায়িত হবে না।
৮ যেমন দেবতার কাছে পাঁঠা বলি দিয়ে সেই আমরাও আমাদের জৈবী সংস্হিতি ও অভ্যস্ত মাংস ভক্ষণ করা। এই আচার কখনও সংস্কার নিয়েই তাঁকে গ্রহণ করেছি। তাঁকে সত্তাপোষণী হতেই পারে না। অনুসরণ করে চলতে চলতে আমরা পরিশীলিত ও পরিশোধিত হচ্ছি। আমাদের দেখে অনেকেই প্রশ্ন ৬ঃ আমার এক পরিচিত বন্ধু কে যাজন অনুপ্রাণিত হচ্ছে। শুধুমাত্র থিওরিটিক্যালি করার উদ্দেশ্য 'সত্যানুসরণ' মহাগ্রন্থটি পাঠ বিষয়টিকে প্রমাণ করতে গেলে গোল বাঁধার করতে দিয়েছিলাম। কদিন পর তিনি বলেন, সম্ভাবনাই বেশি। বইটিতে পড়লাম, \"*তু মি যদি সৎ হও তোমার দেখাদেখি হাজার হাজার লোক সৎ প্রশ্ন ৭ঃ মানুষ দুষ্কর্ম করে অনুতপ্ত হয়। তবুও হয়ে পড়বে।\"* পড়ে খুবই ভাল লাগল । মানুষ পুনরায় দুষ্কর্ম করে কেন? এর হাত থেকে কিন্তু আমার প্রশ্নঃ অব্যাহতি পাওয়া যাবে কিভাবে? এক জন সৎ মানুষ যদি হাজার হাজার উত্তরঃ মানুষ তার জৈবী সংস্হিতি ও অভ্যস্ত মানুষকে সৎ করতে পারে তাহলে সংস্কারের বশবর্তী হয়ে দুষ্কর্ম করে। জীবনের আপনাদের সত্ সঙ্গের অগণিত ভক্ত থাকা কেন্দ্রভূমিতে যদি ইষ্ট না থাকেন এবং তাঁর প্রতি সত্ত্বেও পারিপার্শ্বিকে এত অসৎ কেন? এত যদি অচ্যুত অনুরাগ না থাকে তাহলে এর হাত হিংসা কেন? এত দুর্নীতি কেন? তাহলে থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুষ্কর। আপনি বা আপনারা এখনো সৎ হতে পারেন নি? [প্রশ্নকর্তা - শ্রদ্ধেয় শ্রী রমেন কোলে দা এবং উত্তরঃ সৎ হওয়া মানে সত্তাপোষণী চলনে উত্তরদাতা - শ্রদ্ধেয় ডাঃ সুখেন্দু পানি দা।] চলা। আমরা যারা দীক্ষিত তারা সেই পথেই যথা সম্ভব চলার চেষ্টা করছি। আর আমাদের দেখেই আজ সৎসঙ্গীর সংখ্যা কোটিতে উদ্ভিন্ন হয়ে উঠেছে। আবার যাদের জৈবী সংস্হিতি ঠিক নয় তারা বিরোধী হয়ে উঠেছে।
৯ প্রবন্ধ অপরাধী সংখ্যা এত বাড়ছে কেন? শ্রী জগদিন্দু চক্রবর্তী মানুষের জীবন বহু রকম প্রবৃত্তি দিয়ে ঘেরা থাকে এইভাবে চলতে চলতে ক্রমশ তারা জীবন ও বৃদ্ধি কারণ জন্মের সময় প্রবৃত্তির দ্বারাই মানুষ দেহ অর্থাৎ বিরোধী কাজ অর্থাৎ পাপ কর্মের জালের মধ্যে শরীর পায়। পুরুষ ও নারীর প্রবৃত্তি-পরামৃষ্ট মিলনের জড়িয়ে পড়ে আর সেখান থেকে নিষ্কৃতিও পায়না। মাধ্যমে বায়ু ও পঞ্চভূতে নিরাশ্রয় আত্মা নারীর এইভাবে মানুষ যত ব্যভিচার দুষ্ট হতে থাকে ততই জঠরে নতুন দেহ পায়। তাই প্রতিটি মানুষেরই দেহ তার আত্মবিচার অর্থাৎ নিজেকে বিচার করার প্রবৃত্তি দ্বারাই তৈরি। বাবা ও মায়ের মিলন মুহূর্তের ক্ষমতা ও কোন কাজ করার আগে বিচার করার প্রবৃত্তির তীব্রতার ওপর নির্ভর করে মানুষের জন্মগত ক্ষমতাও লোপ পায়। আর এই অন্যায় কর্মটাই দেহ ও মনের তীব্রতা। সেখানে যদি অর্থাৎ সেই ক্রমশ স্বভাবসিদ্ধ হয়ে ওঠে অর্থাৎ স্বভাব এর মধ্যে মুহূর্তে প্রবৃত্তি- চাহিদা যদি বিকৃত থাকে তাহলে সন্তান প্রবেশ করে আর তখন সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিকৃত প্রবৃত্তি সমেত জন্মগ্রহণ করে এই দুনিয়ার (automatically ) এই কাজ করে চলে। এ কথার বুকে। তার ফলে যে সমস্ত মানুষ পৃথিবীর বুকে আসে অর্থ হল মনের অগোচরেও এই ভয়ঙ্কর পাপ কাজ তারা এই বিকারের দ্বারা আক্রান্ত হয়েই জন্মগ্রহণ সে করেই চলে। বহুবছর এভাবে চলার ফলে এই করে বলে মানসিক বিকার নিয়ে চলে। জন্মগত অন্যায় কর্ম করার প্রবণতা বা ঝোঁক সংস্কারে বিকৃতি থেকে মুক্ত হওয়া ভীষণতম কঠিন, বরং বলা (instinct-এ ) রূপান্তরিত হয় এবং জন্ম জন্মান্তর যায় প্রায় অসম্ভব। ধরে সেই মানুষটি এই কাজ করে চলে। সমস্ত রকম ধর্মীয় মতবাদে কাম বিকৃতি অর্থাৎ পুরুষোত্তমের দীক্ষা নিলেই যে কোনো মানুষ যৌনবিকৃতিকে মহা পাপ হিসেবে ব্যাখ্যা করা পরিবর্তন হয়ে গেল তা কিন্তু নয়। তাই আজ হয়েছে। সেমিটিক ধর্মীয় মতবাদেও বিকৃত দীর্ঘকাল দীক্ষিত লোকের মধ্যেও নানা ধরনের কামপ্রবৃত্তিই সবচাইতে বড় পাপ হিসাবে পরিগণিত। অপরাধপ্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। কারণ জন্মগত যৌনাচারে মানুষ যদি শুদ্ধ না হয় তাহলে তার জীবন সংস্কারকে পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না। জন্মগত খুব দ্রুত ধ্বংসের পথে অগ্রসর হয়। সংস্কারের মধ্যে যে স্বভাব চরিত্র নিহিত থাকে সেটা আজকাল মানুষ বিভিন্ন ধরনের ব্যভিচারে লিপ্ত আর আসলে সত্তার মধ্যে গাথা হয়ে থাকে। Instinct তার ফলে তাদের মস্তিষ্ক জগৎ এতটাই অশুদ্ধ অর্থাৎ সত্তার মধ্যে (in) stinct (বিদ্ধ) হয়ে থাকে অপবিত্র হয়ে উঠেছে যে তারা সৎ ও অসৎ কর্মের তাই সেটা অপরিবর্তনীয়। প্রভেদ বুঝতে পারে না। পরমপিতা মানুষের মস্তিষ্কের ভেতরে যে judgement capacity (বিচার শক্তি) তাই এই সমস্ত লোক ধর্ম সংঘকে নষ্ট করে। দিয়েছেন, এই ধরনের মানুষের ক্ষেত্রে তা সক্রিয় শ্রীশ্রীঠাকুর তাই অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে বলেছেন, থাকে না অর্থাৎ ঠিকভাবে কাজ করে না। এই সমস্ত ধর্ম মানুষের জীবনের মধ্যে না থাকলে আচরণের মানুষের আত্মবিচার অর্থাৎ নিজের ভুল ত্রুটি ধরা ও মধ্যে না থাকলে ধর্মসংঘ থাকা সত্ত্বেও ধর্ম লোপ সেগুলোকে সংশোধন করার সক্ষমতা না থাকায় পায়। সবসময়ই তারা ভুল ও ত্রুটিপূর্ণ কাজ করেই চলে এবং সেগুলোকেই তারা সঠিক কাজ হিসেবে মনে করে।
১০ নিরামিষ রান্না আলু দিয়ে সুস্বাদু পাঁপড়ের তরকারি উপকরণ প্রণালীঃ ১. পাঁপড় স্টেপ ১ – প্রথমে আলু ভালো করে জলে ধুয়ে নিয়ে ছোট ২. আলু করে টুকরো করে কেটে নিন। আলু খুব ছোট করবেননা। ৩. কাঁচা লঙ্কা মাঝারি সাইজের রাখলেই ভালো হয়। আলুটা অল্প সিদ্ধ ৪. গোটা জিরে করে নিতে পারেন। তাড়াতাড়ি রান্না হবে। ৫. শুকনো লঙ্কা স্টেপ ২ – জিরে ও কাঁচালঙ্কা ভালো করে বেটে নিতে ৬. এলাচ হবে। অথবা মিক্সিতে দিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিতে ৭. দারুচিনি পারেন। টম্যাটোটা টুকরো করে কেটে নিয়ে একসাথে ৮. তেজপাতা জিরের সাথে বা আলাদা পেস্ট করে নিন। ৯. সামান্য চিনি স্টেপ ৩ – এবার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে ফোড়ন ১০. জিরে, টম্যাটো, কাঁচালঙ্কা দিতে হবে। এলাচ, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা বাটা জিরে, দারুচিনি। ফোড়ন দিয়ে অল্প একটু নেড়েচেড়ে ১১. হলুদ গুঁ ড়ো নিন। তারপর আলু দিয়ে দিন। ১২. লঙ্কা গুঁ ড়ো স্টেপ ৪ – আলু কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে বাটা মশলা দিন। ১৩. স্বাদমতো নুন টম্যাটো পেস্ট আর জিরে কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে নিন। মশলা ভাজার সময়েই অল্প চিনি দিয়ে দেবেন। স্টেপ ৫ – বেশ কিছুক্ষণ কষে নিয়ে নুন, হলুদ গুঁ ড়ো, লঙ্কা গুঁ ড়ো দিয়ে ভালো করে কিছুক্ষণ মশলা কষিয়ে নিতে হবে যাতে হলুদের গন্ধ কেটে যায়। তারপর পরিমাণ মতো জল দিন। ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিন অল্প আঁচে। স্টেপ ৬ – অন্য একটি কড়াইতে পাঁপড় ছোট ছোট টুকরো করে ভেজে নিন। আলু প্রায় সিদ্ধ হয়ে এলে পাঁপড়গুলি তরকারিতে দিয়ে দিন। যদি আলু আগে থেকে সিদ্ধ করা থাকে তাহলে তরকারিতে জল দিয়েই পাঁপড়ভাজাগুলো দিয়ে দিতে পারেন। পাঁপড় বেশি ভাজার প্রয়োজন নেই। পাঁপড়গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ ফু টিয়ে নামিয়ে নিন, আর গরম পরিবেশন করুন।
১১ প্রবন্ধ ‘কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন’ শ্রী অনুপ কু মার বৈদ্য মানুষের জীবন বড় বিচিত্র। তা কখনই একই ঈশ্বরপুরুষ প্রতিটি সত্তার অস্তিত্বস্বরূপ তাই ধারায় প্রবাহিত হয় না। জীবন পথের প্রতিটি তিনি সকলকেই সমানভাবে ভালবাসেন, ঠিক পর্যায়েই আমরা বিভিন্ন রকম ঘাত প্রতিঘাতের যেমন পিতামাতা তাদের সকল সন্তানকেই সম্মুখীন হই এবং নানাভাবে বিচলিত হয়ে পড়ি, সমান ভালবাসেন। পরমপিতার অকুন্ঠ মন মানসিকতা ভেঙে যায়। তখন স্বাভাবিক ভালবাসা সূর্যের আলোর মতই সকলের উপর ভাবেই আমরা ভাবতে শুরু করি – কেন এমন সমানভাবে বর্ষিত হয় এবং তা সর্ব্ব্যাপী। কিন্তু হল? কিছু কিছু সময় কারণগুলি বোধে ধরা পড়ে ঈশ্বরপুরুষ আমাদের কতখানি ভালবাসেন কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা হয়ত আমরা বুঝতে তাতে আমাদের কারো কিছু যায় আসে না। পারি না। আর তখনই আমরা নিজেদের ভাগ্যের আমরা তাঁকে কে কতখানি ভালবাসতে পারছি দোহাই দিই, ঈশ্বরপুরুষকে দোষারোপ করতে বা তাঁর প্রতি সুকেন্দ্রিক হতে পারছি তার শুরু করি, যেন সব কিছুর জন্য তিনিই দায়ী। উপরেই নির্ভর করছে আমাদের জীবনের আমরা তাঁকে দোষের ভাগীদার করি ঠিকই কিন্তু সাফল্য বা ব্যর্থতা। এমনি করে প্রকৃত অর্থে জীবনে ভাল যা কিছু ঘটে তার কোন কৃতিত্ব আমরাই আমাদের ঈশ্বরানুরাগ ও সহজে তাঁকে দিতে রাজি হই না। ভাল যা কিছু অস্তিত্বপোষণী কর্মাবলীর মাধ্যমেই আমাদের জীবনে ঘটে সবটুকুর কৃতিত্ব নিজে পেতে চাই জীবনকে কোন পথে পরচালিত করব তা আমরা। সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারি। সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, আনন্দ, বেদনা – কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা অনেক সবই জীবনের অংশ। এগুলোকে বাদ দিয়ে সময় আগে পিছে না ভেবে জীবনে এমন কিছু জীবন চলতে পারে না। জীবনকে সুষ্ঠুভাবে ভ্রান্ত পদক্ষেপ নিয়ে ফেলি বা এমন কিছু কর্ম পরিচালিত করার যে পন্থা বা পথ সেগুলি করে ফেলি যা কখনই শুভ ফলদায়ক হয়ে ওঠে দেখানোর জন্য পুরুষোত্তমগণ যুগে যুগেই না। এবং তার জন্য আমাদের উপযুক্ত ফলও আমাদের মধ্যে আসেন আমাদের কাছের মানুষ ভোগ করতে হয়, তা আমরা চাই বা না চাই। হয়ে, একান্ত আপনজন হয়ে, বুকভরা ভালবাসা কর্মের ফল আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তা নিয়ে। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই আমরা তাঁকে মেনে নেওয়া ছাড়া আমাদের কোন উপায় চিনতে পারি না বা চিনতে চাই না। অভ্যস্ত থাকে না। ঈশ্বরপুরুষ চৈতন্যস্বরূপ, সর্বজ্ঞত্ব সংস্কার তাতে বাধা দেয়। তাঁকে আর পাঁচ জন বীজ তাঁর মধ্যে নিহিত থাকে, তাই সবটুকুই সাধারণ মানুষের মত একজন ভেবেই আমরা তাঁর জানার মধ্যে থাকে। তিনি যেমন সমস্ত ভুল করি ফলে পুরুষোত্তমের দেখানো পথে প্রবৃত্তির উর্দ্ধে তেমনি সমস্ত জ্ঞান তাঁর অধিগত। আমাদের চলা হয়ে ওঠে না। কিন্তু বিধি বিধি, তাঁর প্রতি আমাদের ভালবাসা প্রকৃত হলে তাই তাঁকে উলঙ্ঘন করার যা ফল তা ফলবেই, আমাদের অন্তরে তিনি ততখানি জেগে ওঠেন। তার থেকে কারও রেহাই নেই। আমরা তখন প্রজ্ঞাবান হয়ে উঠি।
১২ আমরা যখন সত্যিকারের ভক্ত হয়ে উঠি তখন ‘কৃ পা’ মানে ‘করে পাওয়া’। আমাদের এই তাঁর নির্ধারিত মানদণ্ডেই জীবনকে পরিচালিত করাটা বিধিমাফিক না হলে তাঁর জন্য ফল করি। অন্য কোন লোভ বা মোহ আমাদের আচ্ছন্ন আমাদের ভু গতেই হয়। অন্য কেউ এর জন্য বা আকৃষ্ট করতে পারে না। প্রবৃত্তিপরায়ণতা দায়ী নয়। আমাদের আর পেয়ে বসতে পারে না। কিন্তু মূল সত্যটা এই যে কেবলমাত্র নিজে ইষ্টমুখী হলেই পরমপিতা আমাদের স্বাধীন ইচ্ছা দিয়ে চলবে না, আমরা যদি আমাদের পারিপার্শ্বিককে দিয়েছেন। তাই আমরা কি করব না করব তা ইষ্টমুখী বা সুকেন্দ্রিক করে তুলতে না পারি তবে আমাদের উপরেই নির্ভ র করে। কিন্তু তার ফলও আমাদের ভুগতে হবে কারণ মানুষ কর্মফলের উপর আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ একা বাঁচতে পারে না, সকলকে নিয়েই তার থাকে না। গীতায় ভগবান শ্রীকৃ ষ্ণ তাই সুষ্ঠুভাবে বাঁচাবাড়া। প্রকৃত ধর্মের সারকথাও বলেছেন, ‘কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু এই। কদাচন’ – অর্থাৎ কর্মে তোমার অধিকার আছে, কর্মফলে নয়। সুতরাং কাঙ্ক্ষিত আমরা বৃত্তিমুখী মানুষ তাই পরিবেশ ফললাভের জন্য আমাদের কর্মগুলিকেও সেই পারিপার্শ্বিকের দ্বারা আমরা যথেষ্ঠই প্রভাবিত হই অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। আর নিজের এবং অনেক সময়ই আমরা ভুল পথে পা বাড়াতে উপর সেই নিয়ন্ত্রণ আনার জন্যই নিয়ন্ত্রিত বাধ্য হই। তাই নিজে ভাল থাকতে চাইলে যিনি তাঁতে সুকেন্দ্রিক হতে হয়। আর পাশের মানুষগুলিকেও পরমপিতার মানুষ করে পুরুষোত্তম হচ্ছেন সেই নিয়ন্ত্রিত পুরুষ। শুধু তোলা লাগবে। অর্থাৎ আমার স্বার্থ জড়িয়ে আছে বর্ত মান জীবন বলে নয়, বর্ত মান জীবনের সকলের স্বার্থের সঙ্গে। এই সহজ সত্য আমরা কর্মের ফল পরবর্তী জীবনকেও প্রভাবিত অনেক সময় বুঝতে পারি না এবং আত্মকেন্দ্রিক করে। জীবন যাপন করতে চাই। আমরা ছোট বড় যে যেমনই হই না কেন, ইষ্টকে বা পুরুষোত্তমকে তাই জীবনে একজন দক্ষ মানুষ হয়ে উঠতে আমরা যদি ভালবাসি তবে তাঁর মধ্যে যা কিছু হলে পুরুষোত্তম প্রবর্তি ত দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে, বর্তমান তা আমাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আমাদের নিষ্ঠাসহ তাঁর দেওয়া জীবনীয় নীতিগুলি মধ্যে ফুটে উঠবে। কারণ আমরা যদি কাউকে পালনের মধ্য দিয়েই আসে জীবনের প্রকৃতই ভালবাসি তবে আমরা তাঁর চরিত্রের সার্থকতা। সপরিবেশ আমরা যখন এক সবটুকুই আয়ত্ত করতে চাই। আর তাই তেমন আদর্শকে জীবনে বরণ করে নিই তখনই আসে মানুষকে আমরা বলি আদর্শ। আমরা তাঁর মত প্রকৃ ত সংহতি, আজ যার বড় অভাব। হয়ে উঠতে চাই। অর্থাৎ ভালবাসা বা অনুরাগ ঈশ্বরপুরুষ যুগে যুগেই আসেন, কিন্তু তিনি অনুযায়ীই আমাদের করা এবং করা অনুযায়ীই এক ও অদ্বিতীয় এই পরম সত্য না বুঝেই আমাদের পাওয়া। ঈশ্বরের কৃপা এমনি করেই আমরা সম্প্রদায় রচনা করি, নিজেদেরকে আমাদের উপর বর্ষিত হয়। না করে কিছু পাওয়া পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলি। তার যায় না। শ্রীশ্রীঠাকুর বলছেন, ‘না করে যে পেতে ফলও আমরা ভোগ করে চলেছি যুগ যুগ চায়,/ দুঃখ তাঁর পিছে ধায়।’ আর কর্মফলও ধরে। যত তাড়াতাড়ি পুরুষোত্তমের এক আসলে এমনি করেই আমরা নিজেরাই অর্জন আদর্শে আমরা উপনীত হয়ে সংহত হতে পারব করি। ততই মঙ্গল আমাদের নিকটবর্তী হবে।
১৩ ধারাবাহিক প্রবন্ধ আর্য্য দশবিধ সংস্কার পর্ব ১৯ ডাঃ তপন দাস রাম-রাজত্ব, জনক-রাজত্ব পার হয়ে কুরুক্ষেত্র সেই ধর্মের নীতিতে কারও প্রতি বিদ্বেষ বা যুদ্ধের পরবর্তী প্রায় তিন হাজার বছর পর্যন্ত উৎপীড়নের স্থান থাকবে না; সেই ধর্মে প্রত্যেক শ্রীকৃষ্ণ প্রবর্তিত ঋত্বিক-সংঘ সক্রিয় থাকার ফলে নরনারীর দেবস্বভাব স্বীকৃত হবে এবং তার সমগ্র আশ্রমধর্মে বিকৃতি প্রবেশ করতে পারেনি। বৌদ্ধ শক্তি মনুষ্যজাতিকে দৈবী-স্বভাব উপলব্ধি করতে পরবর্তী যুগে আশ্রমধর্মে কিছু বিকৃতি প্রবেশ সাহায্য করবার জন্যই সর্বদা নিযুক্ত থাকবে। এমন করলেও সাধারণ্যে ন্যায়, নীতি, বর্ণাশ্রম, ধর্ম উপস্থাপিত কর, সকল জাতি তোমার অনুবর্তী চতুরাশ্রম ধর্ম একেবারে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল না। হবে।”(চিকাগো ধর্ম মহাসভায় সপ্তম দিনের ভাষণ যার সাক্ষ্যপ্রমাণ ‘গৌরাঙ্গ বিজয়’ গ্রন্থে বর্ণিত : ১৯/০৯/১৮৮৩)। রয়েছে। চৈতন্যদেবের অসৎ-নিরোধী ও প্রেমধর্মের শিক্ষা পরবর্তী উত্তরসাধকেরা বীররসে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের পরবর্তী অবতারবরিষ্ঠ সিক্ত না করতে পারার ফলে আগ্রাসন, শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র উপস্থাপিত করলেন সেই ধর্মান্তরকরণ, লর্ড মেকলে সাহেবের প্রবৃত্তি ধর্ম — বিশ্বজনীন ধর্ম — স্বামীজির দিব্যদৃষ্টির প্ররোচিত নব্য শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারণে ক্রমেই রূপকল্পনার ধর্ম। আর্য্য ভারতবর্ষের শাশ্বত, ভারতবর্ষ এক সাংস্কৃতিক বিজিত জাতিতে সনাতন ধর্মকে যুগোপযোগী নবীনতার পেলবে পরিণতির লক্ষ্যে এগিয়ে চলে। উপস্থাপনা করে উপহার দিলেন মানব সভ্যতাকে। হিমাইতপুর আশ্রমে নারী, পুরুষ, বর্ণ, সম্প্রদায়, শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সমন্বয়ী বার্তা স্বামী ধনী-নির্ধন, ব্রাহ্মণ-চণ্ডাল, মূর্খ, পণ্ডিত, নির্বিশেষে বিবেকানন্দ বিশ্বের দরবারে উপস্থাপনা করে আর্য্য সকলের স্ব স্ব বৈশিষ্ট্যকে উন্নতি বিধানের নিমিত্ত ভারতর্ষের জয়গান গাইলেন। ভারতীয় সনাতন দীক্ষা, শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান, গবেষণার দৃষ্টান্ত ধর্মকে পুণঃপ্রতিষ্ঠা করার এক ভবিষ্যৎ বাণী ব্যক্ত স্থাপন করে যে আধুনিক ঋষিযুগের নবীকরণ করেছিলেন বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় বক্তৃতায়। করেছিলেন তা ইতিহাসের পাতার কালাধারে অক্ষয়লিপিতে লিপিবদ্ধ থাকবে। অতএব কোন “যদি কখনও একটি বিশ্বজনীন ধর্মের উদ্ভব প্রকার সংস্কারে আবদ্ধ না থেকে, একমাত্র হয়, তবে তা কখনও কোনো দেশে বা কালে পরমপুরুষের সংস্কারে সংস্কৃত হতে পারলে সার্থক সীমাবদ্ধ হবে না। যে অসীম ভগবানের বিষয় ঐ হবে উপনয়ন সংস্কারে সংস্কৃত হওয়া। শ্রীশ্রীঠাকুর ধর্মে প্রচারিত হবে, ঐ ধর্মকে তাঁরই মত অসীম সকল বর্ণকেই উপনয়ন সংস্কারে সংস্কৃত হতে হবে, সেই ধর্মের সূর্য্য কৃষ্ণভক্ত, খ্রীষ্টভক্ত, করেছিলেন। সাধু অসাধু—সবার উপর সমানভাবে কিরণ দেবে; সেই ধর্ম শুধু ব্রাহ্মণ বা বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান বা মুসলমান হিমাইতপুর সৎসঙ্গ আশ্রম প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হবে না — সেই ধর্ম সব ধর্মের সমষ্টিস্বরূপ হবে, শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন – “হিমাইতপুর সৎসঙ্গ অথচ তাতে উন্নতির সীমাহীন অবকাশ থাকবে; আশ্রমকে পুণ্য ক্ষেত্র ব’লে মনে হয়। ঐ জঙ্গলে উদারতার সেই ধর্ম অসংখ্য প্রসারিত হস্তে পৃথিবীর বসে যে জিনিস গজিয়ে উঠেছিল, তার মূল্য আমি সব নরনারীকে আলিঙ্গন করবে, পশুতুল্য অতি নিজেও ভাল করে বুঝতে পারিনি। কিন্তু যে জিনিস হীন বর্বর মানুষ হতে শুরু করে হৃদয় ও মস্তিস্কের ওখানে বসে পেলাম, তা’ থেকেই তো সব। গুণরাজির জন্য সমগ্র মানবজাতির ঊর্দ্ধে যাঁরা স্থান পেয়েছেন, সমাজ যাঁদের সাধারণ মানুষ বলতে সাহস না করে সশ্রদ্ধ সভয় দৃষ্টিতে দেখেন—সেই সকল শ্রেষ্ঠ মানব পর্যন্ত সকলকেই আপন অঙ্কে স্থান দেবে।
১৪ কতবার কতভাবে ক’লাম, তবু শেষ মাতৃ দেবো ভব। পিতৃ দেবো ভব। হলো না, আর শেষ হবেও না কোন আচার্যদেবো ভব। অতিথিদেবো ভব। দিন, যা’ আমি নিজের জীবন দিয়ে যান্যনবদ্যানি কমানি। তানি পেয়েছি। এ যে অফুরন্ত, তাই তো সেবিতব্যানি। বলে অমৃত। কত নাম, কত ধ্যান, নো ইতরানি। যান্যস্মাকং সুচরিতানি। কত তপ ওখানে হয়েছে। ওখান তানি ত্বয়োপাস্যানি। নো ইতরানি।” থেকেই সব evolve করেছে। যে অর্থাৎ, দেব ও পিতৃ কার্যে মাটিতে এই সব হয়েছে সে মাটি অমনোযোগী হবে না। মাতা, পিতা, সামান্য নয়, তা পৃথিবীর মহাতীর্থ।” আচার্য্য এবং অতিথি যেন তোমার (আঃ প্রঃ, খণ্ড ১৭, পৃঃ ১১৯-১২০) দেবতা হন। অনিন্দিত কর্মের অনুষ্ঠান করবে, কখনোই কোনো সমাবর্তনঃ শিক্ষা সমাপনান্তে গৃহে নিন্দিত কর্মের অনুষ্ঠান করবে না। প্রত্যাবর্তনের প্রাক্কালে বিদায় সদাচার ভিন্ন কোনো অনুষ্ঠানই সম্বর্দ্ধনার অনুষ্ঠানের নাম সমাবর্তন। করবে না। (তৈত্তিরীয় উপনিষদঃ ১ম সমাবর্তন কালে শিষ্যদের বিশেষ অধ্যায় ১১শ অনুবাক) উপদেশ দিয়ে বলা – “দেবপিতৃকার্যাভ্যাং ন প্রমদিতব্যম্।
১৫ প্রবন্ধ বিবাহ বিচ্ছেদ একটি মহাপাপ শ্রী জগদিন্দু চক্রবর্তী পবিত্র বিবাহ বন্ধন সৃষ্টি হয়েছিল পৃথিবীতে তখন স্বামী এবং স্ত্রী দুজনেই আনন্দ, আমাদের দেশেই। পৃথিবীর কোন দেশেই এত দুঃখ, সুখ আবার যন্ত্রণাও সবই নিজেদের সুন্দর উৎকৃষ্ট এবং চিরস্থায়ী বিবাহ ব্যবস্থা তৈরি মধ্যে ভাগ করে একসাথে থেকে সংসার করে হয়নি। পুরোহিত ডেকে শাস্ত্র নির্দেশিত মন্ত্র গেছে। তারা একজন আরেকজনকে ছেড়ে উচ্চারণের মাধ্যমে পিতৃপুরুষকে আমন্ত্রিত করে চলে যাবে একথা কোনদিন ভাবে নি। বহু মানুষের সমাগমে এই অপূর্ব বিবাহ প্রথা সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের দেশেই। আমাদের প্রিয় দেশ কিন্তু আজ ভয়ানক দুঃখের দিন এসেছে। ভারতবর্ষের এ এক অপরূপ সৃষ্টি। একজন আরেকজনকে ছেড়ে চলে যায়। বিবাহিতা নারী আরেকটি পরপুরুষকে নিয়ে কিন্তু এখন আমাদের সমাজের বহু মানুষ আবার জীবন শুরু করে, এসব অন্যায় ও উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যাওয়াতে স্বামী স্ত্রীর এই মধুর পাপের কথা। ভালবাসাময় পবিত্র বন্ধন আলগা হয়ে যাচ্ছে। ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ শব্দটা আমাদের দেশের মানুষ ঠাকু র একদিন আলোচনা করতে গিয়ে কোনদিনই শোনেনি। কারণ আমাদের দেশের বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদের পরিকল্পনা অত্যন্ত মানুষের কাছে বিবাহ ছিল একটি পুরুষ ও একটি অত্যন্ত খারাপ। ওতে সমাজ সংসারের ভিত নারীর সারা জীবনের মধুর ভালবাসাময় সংসার আলগা হয়ে যায়। স্বামী এবং স্ত্রী প্রত্যেকেই সৃষ্টির উপকরণ। তখন প্রতিটি মানুষ তো সবসময়ই একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকে। উচ্ছৃঙ্খল ছিল না বরং তারা অন্য মানুষের সঙ্গে কখন যে তাদের একজন আরেকজনকে এডজাস্ট করার মত ক্ষমতা সম্পন্ন ছিল। প্রতি ছেড়ে চলে যাবে তার নিশ্চয়তা থাকে না মানুষেরই ঠিক ভুল আছে কিন্তু এডজাস্ট করা বলে ভালোবাসা বলে কিছু থাকে না। কারণ মানে হলো অন্যের ভুলভ্রান্তিগুলোকে মোটামুটি স্বামী জানে না কখন তার স্ত্রী তাকে ত্যাগ মেনে নিয়ে একসঙ্গে চলার ক্ষমতা। করে চলে যাবে আবার স্ত্রীও জানে না স্বামী কখন তাকে ত্যাগ করে চলে যাবে।
১৬ ঠাকু র আরো বলেছেন, সন্তানদের মহামানব যীশু বলেছেন, যে কেহ অবস্থা আরো দুরূহ হয়ে ওঠে ভাবলেই আপনার স্ত্রীকে পরিত্যাগ করিয়া আমার হৃৎকম্পন হয়। আমি বলি বিয়ের আরেকজনকে বিবাহ করে সে ব্যভিচার আগে তন্ন তন্ন করে বিচার কর। যেমন করে; এবং যে কেহ স্বামীত্যক্তা স্ত্রীকে তেমন করে হুট করে বিয়ে করোনা। ভালো বিবাহ করে সেও ব্যভিচার করে। (লুক - করে দেখে শুনে তারপর বিধিমতো বিয়ে ১৬/১৮ ) করো। কিন্তু বিধি মত বিয়ে করে কখনো সে বিয়ে নাকচ করো না। এই মহাপাপ কর না। পবিত্র কোরান গ্রন্থে হজরত রসুল ইহজন্ম পরজন্ম নষ্ট কর না। তাঁর বাণীতে বলেছেন, তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য যে সহধর্মিণী আরো বলেছেন, বিবাহ তো আমাদের সকল সৃষ্টি করিয়াছেন তাকে কি তু মি একটা পবিত্র সংস্কার। সেখানে স্ত্রী গৃহের বর্জন করিতেছ? তাহা হইলে তোমরা সীমা সর্বময় কর্ত্রী। বিবাহ বিচ্ছেদে স্বামী-স্ত্রীর অতিক্রমকারী। (২৬/১৬৬ ) কারো ভালো হয় না। আজ একজনকে পছন্দ হলো না তাকে ছাড়লাম। আবার আবার শ্রীশ্রীঠাকু র বলেন, শয়তানের কিছুদিন পরে তাকেও ছাড়লাম। হয়তো তহবিলে যত পাপ আছে, তার মধ্যে বিবাহ একটা সন্তানও আছে এই সন্তানগুলির না বিচ্ছেদ ও অন্যের পরিত্যক্ত স্ত্রী গ্রহণ থাকবে মা না থাকবে বাবা। পরে বড় হয়ে সর্পিলতম পাপ। ওরা হিংস্র প্রকৃ তির হয়ে উঠবে। পৃথিবীর যত ধর্মগ্রন্থ আছে কোনটাতেই এই বিবাহ বিচ্ছেদ সমর্থিত হয়নি। দুনিয়ার সমস্ত মহামানবগণই বিবাহ বিচ্ছেদকে ভয়ংকর পাপ বলে অভিহিত করেছেন।
১৭ প্রবন্ধ \"মৃত্যু অবলুপ্তির বিজ্ঞান প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকু র অনুকূ লচন্দ্র” ডাঃ বিশ্বনাথ ভৌমিক ভারতের ঋষির মুখে একদিন উচ্চারিত হয়েছিল কবিগুরু তাঁর অনবদ্য অনুভূতির ভাষায় বলেছেন, – “বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি সে আমার নয়, “শৃণ্বন্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রাঃ। অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দময় আ যে ধামানি দিব্যানি তস্থূ। বেদাহমেতং পুরুষং মহান্তম্। লভিব মুক্তির সাধ।” আদিত্যবর্ণং তমসঃ পরস্তাৎ। আবার বলছেন, তমেব বিদিত্বাতি মৃত্যুমেতি। নান্যঃ পন্থা বিদ্যতে অয়নায়। ” “আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন জাগে, …শোন বিশ্বজন – তবু আনন্দ, তবুও শান্তি, তবু অনন্ত জাগে।” শোন অমৃতের পুত্র যত দেবগণ দিব্যধামবাসী, আমি জেনেছি তাঁহারে পুরুষোত্তম অনুকূলচন্দ্র বললেন – “মা ম্রিয়স্ব, মা মহান্ত পুরুষ যিনি আঁধারের পারে জহি, জ্যোতির্ময়, তাঁরে জেনে তাঁর পানে চাহি মৃত্যুরে লঙ্ঘিতে পার, অন্য পথ নাহি।। শক্যতে চেৎ মৃত্যুমবলোপয়।” তমসা বা আঁধারের পারের সেই অচ্ছেদ্যবর্ণ “মরোনা, মেরোনা, পার তো মৃত্যুকে অবলুপ্ত কর।” মহান পুরুষ (পুরুষ বলতে এখানে কোন পুরুষ শুধু এটা বলেই ক্ষান্ত হননি। কিভাবে তা হবে তার লিঙ্গধারী বোঝানো হচ্ছে না) অর্থাৎ মহাপরিপূরণকারী পরম সত্তা যুগে যুগে এই রাস্তাও বাতলে দিয়েছেন। আজ আমরা সেই বিষয়েই ধরাধামে আবির্ভূত হচ্ছেন ধ্বংসমুখী, মৃত্যুমুখী মানুষকে তাঁকে জেনে সেই পরম অমৃতের কিছু সংক্ষিপ্ত পর্য্যালোচনা করব। অধিকারী করে মৃত্যুঞ্জয়ী সাধকে রূপান্তরিত করার যোগপথ দেখানোর জন্য। তো আমার নিজের জীবনের বাস্তব কিছু ঘটনা তো আজকের এই বস্তুকেন্দ্রিক, অর্থকেন্দ্রিক, দিয়েই ব্যাপারটা শুরু করি। আমার, আমার আত্মস্বার্থকেন্দ্রিক, ধ্বংসাত্মক, হিংসাত্মক এই পৃথিবীতে মানুষ যেখানে কালান্তক মৃত্যুর স্বীকার পিতামাতা ও ভাই বোনেদের দীক্ষা পরমপিতার অনবরত হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, রক্তচাপ, কিডনীর জটীল রোগ, স্নায়বিক, করুণায় তাঁরই শ্রীহস্তে প্রাপ্ত পাঞ্জা ও ঋত্বিক মানসিক বিভিন্ন রোগব্যাধিসহ দাম্পত্য সংঘাতের জটিলতাসহ বিভিন্নভাবে চরমতম দণ্ডাধিকারী সুধীর কুমার মুখোপাধ্যায় (কাঁচড়াপাড়া) বিপর্য্যস্ত, সেখানে এর মধ্য দিয়েই মৃত্যুঞ্জয়ী হওয়া বা অমৃতত্বলাভ কিভাবে সম্ভব? হ্যাঁ, –এর মাধ্যমে তাঁর সৎনাম প্রাপ্ত হই। আমার ইং অবশ্যই সম্ভব। এখানেই পুরুষোত্তম ১৯৬৪ সালে। তখন আমার নয় বৎসর বয়স। আমার অনুকূলচন্দ্রের যুগত্রাতা হিসাবে আগমনের সার্থকতা। শ্রদ্ধেয় ঋত্বিক দেবতা বলেছিলেন নাম জপ ধ্যান ও ইষ্টভৃতি নিষ্ঠার সঙ্গে করবি। ইষ্টভৃতি না করে জলগ্রহণ করবি না। শিশু বয়সে ঐ কয়েকটা মূল্যবান কথা ওনার বলার প্রভাবে আমার মাথায় গেঁথে গিয়েছিল ঐ সময়েই। উনি খুব ভাল জ্যোতিষিও ছিলেন। এবং ওনার নামধ্যানের প্রভাবে একটা অন্তর্দৃষ্টি ও দূরদৃষ্টি ছিল। মানুষের শুভ, অশুভ, ভূত- ভবিষ্যৎ অনেক কিছু বলে দিতে পারতেন। হাজার হাজার মানুষকে উনি দীক্ষা দিয়ে গেছেন। বীরনগর, তাহেরপুর, বাদকুল্লা, রাণাঘাট, গয়েশপুর, কাঁচড়াপাড়া ইত্যাদি অঞ্চলে প্রচুর দীক্ষা দিয়ে গেছেন। এখন টাটানগরে আছেন শ্রদ্ধেয় শ্যামল মজুমদার, নারায়ণ ঘোষ, বীরনগরের শ্রদ্ধেয়া ছবিরাণী গোস্বামী ওনার মাধ্যমে সৎনাম প্রাপ্ত হয়েছেন।
১৮ যাইহোক আমার কোষ্ঠী উনি করিয়েছিলেন। আমাকে ও শ্রীযুক্ত তপন চক্রবর্তীকে (চাকদহ) তাতে পাওয়া যাচ্ছে আমার রাশি ও লগ্ন - যাকে আমার দ্বারা যাজনে শ্রদ্ধেয় সুধীর দাদুর কর্ক ট। নক্ষত্র - পুনর্ব্বসু। মারক পতি শনি। মাধ্যমে নাম প্রাপ্ত করানো হল, সেও গিধনী দ্বিতীয় ও দ্বাদশ পতি যথাক্রমে রবি ও বুধ। সৎসঙ্গের ঋত্বিক। তো আমাকে বললেন তুই দ্বাদশে বৃহস্পতি কেতু যুক্ত হয়ে বসে আছেন। আর তপন আশ্রমে চলে যা। আমি শ্রদ্ধেয় অনিল দ্বাদশ স্থান হচ্ছে মোক্ষস্থান। এই হিসাবে সরকার দাকে বলে দিচ্ছি। ওখানে শ্রীশ্রীঠাকুরের আমার কঠিন রোগে, অপঘাতে ও সর্পাঘাতে কর্ম্মের মধ্যে থাক রক্ষা পেয়ে যাবি। তখন মৃত্যুযোগ ছিল। আমার ঋত্বিক দেবতা ও ‘সৎসঙ্গ মিশনারী এসোসিয়েশন’ থেকে নাম শ্রদ্ধেয় দীনবন্ধু ঘোষ ও শ্রদ্ধেয়া গাঙ্গুলী মা বলে পরবর্তন হয়ে ‘শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ’ একজন ছিলেন সাধিকা প্রকৃ তির, এনারা হয়েছে। কলিকাতার কেন্দ্র ছিল - ২০, ক্যানাল সকলেই একই কথা বলেছিলেন। এবং এও স্ট্রীট, কলি – ১৪ ও ৪০নং বদ্রী দাস টেম্পল বলেছিলেন যে একমাত্র স্বয়ং কালাধিপতি স্ট্রীট। ওখানে শ্রদ্ধেয় কিরণ চন্দ্র মুখার্জী দা পুরুষোত্তমই পারেন তোমাকে রক্ষা করতে। দেখাশোনা করতেন। আর আশ্রম গঠিত হচ্ছে এবং বলেছিলেন যে বৃহস্পতি যেহেতু দ্বাদশে গিধনী, পশ্চিম মেদিনীপুরে। যাই হোক আমি তো তাই কেতু তোমার মৃত্যুর কারক হলেও সেখানে গেলাম। তখন তো চাঁদের হাট সেখানে। বৃহস্পতি অর্থাৎ সদগুরু কৃ পায় তা খন্ডন হবে। সেটা ১৯৭৪ সাল। শ্রদ্ধেয় অনিল সরকার দা, এবং আমার জীবনে ঠিক তাই তাই ভাবে সেই কালিদাস মজুমদার দা, নিশিকান্ত সোম, মৃত্যুদেবতার সম্মুখীন হলাম। সে এক কুমুদবন্ধু বল, প্রবোধচন্দ্র মিত্র, দীনবন্ধু ঘোষ, আশ্চর্য্যকর, বিস্ময়কর, অবিশ্বাস্য ইতিহাস। যতীন্দ্রনাথ দাস, নির্ম্মল দাশগুপ্ত, কিরণ চন্দ্র সে বিস্তারিত বলতে গেলে মহাভারত হয়ে মুখার্জ্জী, ধীরেন চন্দ্র পন্ডা, সত্যকিঙ্কর পালিত, যাবে। সংক্ষেপে একটু বলি যে, যারা পুরানো অমরেন্দ্র নাথ সরকার, আদিত্য নারায়ণ পানি, মানুষ তারা জানেন সত্তরের দশক কি ভয়ংকর শীর্ষেন্দু মুখার্জ্জী, কল্যাণ চক্রবর্তী, প্রসূন মিত্র, অগ্নিগর্ভ সময় গেছে এই বাংলার বুকে। অস্থির কেদার প্রসন্ন লাহিড়ী, গুরুদাস ব্যানার্জ্জী, রাজনীতির মৃত্যুর শিকারের দশক সেই সময়। চিত্তরঞ্জন ব্যানার্জ্জী, মনোজ পন্ডা, রমেশ চন্দ্র আমি তখন নৈহাটি ঋষি বঙ্কিম কলেজে ভট্টাচার্য্য, নীরোদবরণ মজুমদার, ডাঃ ভূপেশ পড়ছি। নাটক, গানবাজনা, খেলাধুলা চরম চন্দ্র গুহ, স্বামীচরণ মুখার্জ্জী, পরবর্তীতে আরো পর্য্যায়ের চলছে। সেই সময়েই অপঘাত মৃত্যুর অনেকে। তখন গিধনী আশ্রম পান্ডব বর্জিত সম্মুখীন হলাম। Details বলছি না। আর দেশ। শিয়াল, হায়না, সাপ, কাঁকড়াবিছার অবিশ্বাস্যভাবে পরম দয়াল ওটা উত্তীর্ণ রাজত্ব। ইলেকট্রিক নেই তখন। তো আমার উপর করালেন। তখন আমার ঋত্বিক দেব আমার অফিসের সবচাইতে গুরুদ্বায়িত্ব ও হোমিও উত্তর সাধক হিসাবে কাজ করছেন। দাতব্য চিকিৎসালয়ের চিকিৎসক ছিলেন ডাঃ শ্রীশ্রীঠাকু র নরলীলা সংবরণ করেছেন ২৬শে শিবেশ্বর সাহা তার সহকারী হিসাবে। ঋতিশ দা, জানুয়ারীর শেষ রাত্রে ২৭শে জানুয়ারীর বিপুল দা, ত্র্যম্বক দা, শ্যামা ব্যানার্জ্জী, উৎসব আবির্ভাব লগ্নে ১৯৬৯ সাল। তারপরের পর conference-এ আমার যে ঘর ছিল তখন বৎসরগুলিতে এই ঘটনা। ১৯৭২ - ৭৪ মধ্যের দাতব্য চিকিৎসালয়ের পাশের ঘরে, সেই ঘরেই এই ঘটনা। ওরা উঠত।
১৯ যাই হোক সে অনেক কথা। সেগুলো অন্য ক্ষেত্রে শ্রদ্ধেয় অনিল দার এক ছাত্র সেই সময় ঝাড়্গ্রাম বলা যাবে। ঐ সময়েই ১৯৭৬ সালের দুর্গাপুজোর হাসপাতালে Medical Officer ছিলেন। আশ্রমে আগে আমার এক কালান্তক ব্যাধি আক্রমণ আসতেন। সেই সুবাদে তিনি তাঁর full medical করলো। চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায় যার নাম team নিয়ে অত্যন্ত যত্নপূর্বক চিকিৎসা করেছেন। নিউমোথোরাক্স (Pneumothorax), বাঁ দিকের ওনারা সত্যানুসরণের বাণী শোনাতেন, ‘নির্ভর ফুসফুস আক্রান্ত হলো। আমার বয়স তখন মাত্র ২১ কর, ভয় পাবে না। ধৈর্য্য ধর বিপদ কেটে যাবে। বৎসর। Infection এ Plura ছিদ্র হয়ে বায়ুর গভীর বিশ্বাসে সবই হতে পারে।’ এই কথাগুলো চাপে বাঁ ফুসফুস কুঁকড়ে ছোট হয়ে গেল। যেহেতু তখন আমার ঐ মরণান্তক সময়ে মন্ত্রের মত কাজ আমার কর্কট রাশি ও লগ্ন তাই ছোটবেলা থেকেই করেছে। এখনও করে, ভবিষ্যতেও করবে। তার ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা, সর্দ্দিকাশি যুক্ত ব্রঙ্কাইটিস মধ্যে দিয়েও দয়াল আমাকে দিয়ে ঐ অফিসের ও শ্বাসকষ্ট আমার লেগেই থাকত। গুরুত্ব দিতাম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, হোমিও দাতব্য কেন্দ্রের সেবা না। প্রয়োজন মনেও হয়নি। দেড়মাস কাঁচড়াপাড়া দেওয়া, হোমিও চিকিৎসা পড়াশোনা, দৈব যোগে রেল হাসপাতালে ভর্ত্তি থাকলাম। বাবা যেহেতু শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আরাধনা তৎসহ শ্রদ্ধেয় অনিল তখন রেলে কর্মরত ছিলেন। বাঁ দিকের বুকের দা ও প্রবোধ দার সাথে দূরদূরান্তের অধিবেশনে, পাঁজর puncture করে বড় Needle ঢুকিয়ে উৎসবে যাওয়া। সে যেন এক স্বপ্নময় জগৎ। বিশেষ পদ্ধতিতে ভেতরের আটকে যাওয়া বায়ু ও ওনাদের অর্থাৎ ঐ পার্ষদদের সাহচর্য্যে, প্রেরণায়, তৎসহ দূষিত পদার্থ বার করা হলো। সে এক বাঁচার তাগিদে একেবারে ভূতের মত নাম মৃত্যযন্ত্রণাদায়ক কষ্ট। টানা দু বৎসর আমার চালানোর ফলে আমার অজান্তেই আমার চিকিৎসা চলল। অত্যন্ত কড়া মাত্রায় Ambistrin দেহকোষে, স্নায়ুতন্ত্রে, মস্তিষ্কিকোষে এক অদ্ভূত Injection ও অন্যান্য সহযোগী ওষুধ সহ। পরবর্তন ঘটে গেল। আমার চিকিৎসকগণ টানা দু মৃত্যুভীতি ঢুকে গেল। এত শ্বাসকষ্ট যে মনে হতো বৎসর চিকিৎসা করার পর যখন বলেই দিলেন এখনই মারা যাব। আমার ঋত্বিক দেব, অনিল দা, যে, দেখ চিকিৎসার ব্যাপারে ত্রুটিহীন ভাবে বিভূতি দা, রমেশ দা, কিরণ দা, কালিদাস দা, আমাদের যা করার করে দিয়েছি। আর কিছু কুমুদ দা, পালিত দা, এঁদের সবাইকে আমার করণীয় নেই। তোমার Plura বা Lungs এর যে পিছনে দয়াল pillar হিসাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন। ছিদ্র সেটা Repair হয়ে গিয়েছে। এখন Lungs বলতেন বিশ্বনাথ শুধু নাম করা যাও। তাঁদের যে কুঁকড়ে ছোট হয়ে আছে ও সাথে যে শ্বাসকষ্ট ও সকলের প্রেরণাতে শুধু বাঁচবার তাগিদে, ভক্তিতে অন্যান্য উপসর্গ কষ্ট আছে ওটা ধীরে ধীরে উন্নতি নয়, বাঁচার তাগিদে প্রচন্ড বেগে নাম হতে থাকল। হবে। কিন্তু তখন আমার একটা দিন যাচ্ছে মানে আমি করিনি, ঠাকুর করিয়েছেন। সাথে মানসিক একটা বছর যাচ্ছে।এই নাম করতে করতে মনে অবসাদে ঠিকমত খেতে না পারার কারণে প্রথমে হল আচ্ছা শ্বাসের ব্যায়াম বা প্রাণায়াম করলে গ্যাস্ট্রিক ও পরে আলসার দেখা দিল পেটে। কেমন হয়! ডাক্তার তো বলেছিলেন ফুটবলের রক্তবমি হত। কালচে কালচে রক্তবমি, সাথে ঐ ব্লাডার ফুঁ দিয়ে ফোলাতে। কিন্তু চেষ্টা সত্ত্বেও তা প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট। এই কারণে কতবার যে ঝাড়্গ্রাম হতো না। দম পেতাম না। কষ্ট হতো। থাকি সদর হাসপাতালে ভর্ত্তি হতে হয়েছে তাঁর ইয়ত্তা গিধনীতে কোথায় শ্বাসের ব্যায়াম শিখব! নেই।
২০ কিভাবে কিভাবে যেন ‘যোগ বলে রোগ আরোগ্য’ আর বিজ্ঞান বিভূ তিতে পেলাম – বইটা হাতে পেলাম। স্বামী শিবানন্দ সরস্বতীর “শব্দ ও সুরের স্থূ ল ও অতিবাহিক ক্রমকে লেখা। দয়াল ঠাকুর বাঁচার লওয়াজিমা যোগান দিচ্ছেন। বই থেকে ঠিকানা দেখে গিধনী থেকে বিহিত ক্যানাল স্ট্রীট এ এসে সুবল কুমার দে দা’কে ব্যবহারের ভিতর দিয়ে নিয়ে বরানগরে ওনার যৌগিক হাসপাতালে ভর্ত্তি যদি আয়ত্ত করতে পার – হলাম। এ এক অদ্ভূত যোগাযোগ। ওনারা আমার x-ray সহ অন্যান্য report ওনাদের Medical তা হতে Officer এর সাথে পরামর্শ করে আমার অনেক সুবিধাকে অর্জন করতে পার, উপযোগী করে শ্বাসের ব্যায়াম, আসন, মুদ্রা, ধৌতি শেখাতে লাগলেন। আর আমি ঐ ব্যাধির দিক দিয়ে – অবর্ণনীয় শ্বাসকষ্ট ও রক্তবমির হাত থেকে রক্ষা সব জাতীয় আধি-ব্যাধি, পাওয়ার তাগিদে সৎনাম সহ তাঁরই ইঙ্গিতে শারিরীক বিকৃ ত পোষণ-প্রদীপ্ত, এইগুলো করতে থাকলাম। কিন্তু পারি না, হতে তাছাড়া অনেক কিছু – চায় না, বুকে এত কষ্ট লাগে, ব্যথা লাগে! আর এমন কি মৃত্যুকেও হয়ত আমিও ঠাকুরকে বলি হে দয়াল! শক্তি দাও, নিরোধ করতে পারা যায়; করিয়ে নাও। এখনই এই বয়সে এইভাবে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাব? না, এ হতে তপ-তৎপর হয়ে পারে না। তুমিই তো বলেছ যজন, যাজন, প্রচেষ্টার অনুধায়নী গতিতে ইষ্টভৃতি/ করলে কাটে মহাভীতি। নিষ্ঠাসহ নাম/ পুরায় মনস্কাম। তোমার নামের গুণে কত মরা যদি পার – মানুষ বেঁচেছে আর আমি বাঁচব না? আমাকে দেখ – তোমার বাঁচাতেই হবে। সন্ধ্যাবেলায় প্রার্থনার পর মাতা মনোমোহিনীর নামে যে পুকুর আছে সার্থকতা কত দূরে!” গিধনী আশ্রমে তখন জল সবসময় থাকত না। [বাণী সংখ্যা – ৩১, ‘বিজ্ঞান বিভূ তি’, লোকজন কেউ নেই। গোপনে চলে যেতাম ঐ পুকুর পাড়ে আর দু হাত তুলে আকাশের দিকে শ্রীশ্রীঠাকু র] তাকিয়ে চিৎকার করে ঠাকুরকে ডাকতাম, আবার পেলাম,………… বাঁচবার প্রার্থনা জানাতাম।কিছুদিন এই রকম বলার পর ভিতর থেকে যেন একটা অদ্ভুত শক্তি ঐ গ্রহ সংস্থিতি ও সাহস এল। এরই সাথে দয়ালের বাণীতে না বস্তু, বিষয় ও পরিস্থিতি সম্পর্কে পেলাম – ‘সঙ্গীতে হয় শ্বাসের ব্যায়াম/ দেহের ব্যায়াম নাচে/ এই ব্যায়াম এই সহজ ব্যায়াম নাই আমাদের গ্রহণভঙ্গীকে কিছু এর কাছে।’ বা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে অনেকখানি নিয়মিত করলেও আমরা তার প্রভাবে উর্দ্ধে যেতে পারি – অর্থাৎ, অতিক্রম করে পারি – ভালমন্দ যা কিছুর শুভ নিয়ন্ত্রণী শক্তি সম্পন্ন কোন শ্রেয়-পুরুষে যদি নিষ্ঠা, আনুগত্য ও কৃ তি সম্বেগ নিয়ে চলি;
২১ তাই, শ্রেয়নিষ্ঠ হয়ে অনাহত নাদ, শ্রুতি, শুদ্ধ কোমল ও কড়ি সদাচারে স্বরমণ্ডলীর গভীর তাত্ত্বিক প্রয়োগ, মূর্চ্ছনার সৎপথে চলাই হচ্ছে – অভ্যাস, নাভিনাদ বা ব্রহ্মনাদ বা শঙ্খনাদের জীবন চলনার পরম স্বস্ত্যয়ন ; অভ্যাস, শতাধিক রাগের বিলম্বিত ঝুমরা, বিলম্বিত একতাল, ঝাঁপতাল, ত্রিতালনিবদ্ধ ……………বাণী সংখ্যা – ৩৮, বন্দিশ সহ তালিম গুপ্ত মীড়খন্ড পদ্ধতিতে ‘বিজ্ঞান বিভূতি’, শ্রীশ্রীঠাকুর। করতে থাকলাম। প্রথমে ‘B’ flat, তারপর ‘C’ ‘C’ sharp তারপর ‘D’ ও ‘D’ sharp এ তা সেই ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ঘন্টার পর ঘন্টার রেওয়াজ অদ্ভুতভাবে আয়ত্তে এই একটানা একটা ভয়ানক কালান্তক ব্যাধিযুক্ত এসে গেল। যে মানুষের এক সময় কথা বলতে দুর্ব্বল, ভীত, অবসাদগ্রস্ত কোন যাদুবলে কোন শ্বাসকষ্ট হতো, যার বেশির ভাগ সময়ে শক্তিতে এই মরণজয়ী লড়াইটা দিতে পারল তা হাসপাতালে ভর্ত্তি থেকে oxygen ও inhaler অবিশ্বাস্য ও আশ্চর্য্যজনক তো বটেই। তার নিয়ে চলার কথা সে কিভাবে এই তিল তিল মধ্যে রয়েছে সর্পভীতি। কারণ ঐ সময়ে যারা মহামৃত্যুর থেকে তাঁর যাদু দয়াতে ফিরে এসে, যারা গিধনী আশ্রমে থাকতেন সন্ধ্যা বা যে কোন শুধু ফিরে এসে নয় এতসব বিদ্যা – হোমিও সময়ে গোখরা, চিতি, বোড়া, বিষাক্ত সাপ ও চিকিৎসা বিদ্যা, উচ্চতর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতবিদ্যা, গুঢ় কাঁকড়াবিছা ঢুকে পড়ত। আমার পাশের ঘরে জ্যোতিষবিদ্যা, তাঁর গান রচনা, সুর সংযোজনা, যিনি থাকতেন শ্রদ্ধেয় লক্ষ্মীকান্ত দলুই দা, বিজ্ঞানধর্ম্মী পুস্তক লেখা, পত্রিকায় লেখা, শ্রীমান শ্যামল দলুই এর বাবা। তিনি কোথায় সকলের সাদর আমন্ত্রণে তাঁর আদর্শের বিজ্ঞান ও থেকে ঐ শালবান থেকে একটা অদ্ভুত ধরণের দর্শনধর্ম্মী আলোচনা পরিবেশন করা, তৎসহ গাছ বা শিকড় এনে আমার ঘরে রেখে বললেন, সাংসারিক কর্তব্য পালন করা, Internet এ তাঁর এটা থাকলে ঘরে সাপ ঢুকবে না। কাকতালীয় আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ও পরিবেশন হলেও এটা আশ্চর্য্যজনক যে আমার সর্পাঘাত করা কিভাবে তিনি হওয়াচ্ছেন তা আমার বোধ যোগ থাকলেও, আমার ঘরে কোনদিনই সাপ ও ব্যখ্যার বাইরে। নামের গুণে শুষ্ক তরু মুঞ্জরে ঢোকার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকলেও তারা বোধ হয় এটাই। মূকং করোতি বাচালম্, পঙ্গুৎ ঢোকেনি। তো যাই হোক পূর্ব্ব বাণী অনুযায়ী লঙ্ঘয়তে গিরিং, বন্দে পরমানন্দ মাধবম বোধ শ্রদ্ধেয় প্রসূন মিত্রের প্রেরণায় ও যোগে প্রথমে হয় এটাই। এ আমার নিজের জীবনের ভয়াবহ তার বন্ধু ওস্তাদ আমির খানের শিষ্য অধ্যাপক বাস্তব দিক দিয়ে বস্তবভাবে অনুভব করা। এর অচিন্ত্য চৌধুরী, তারপর পন্ডিত শ্রীকান্ত বাকরে মধ্যে ঐ সকল রোগের জন্য কড়া কড়া ওষুধের (অল ইন্ডিয়া রেডিও) মেজর দীনেশ চন্দ্র চন্দ। প্রতিক্রিয়ায় ১৯৯৩ সালে Diabetes এসে তার আগে দ্বিজেন্দ্রলাল চক্রবর্ত্তী, কমল চৌধুরী, গেল। হরিপদ দাস, এঁদের কাছে আশ্চর্য্য যোগাযোগে ঐ শব্দ ও সুরযুক্ত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বিভিন্ন রাগরাগিণীর তালিম পেতে শুরু করলাম।
২২ প্রতিদিন সকালে 40 unit Insulin ও রাত্রে 30 রাগ - ভৈরবী – T. B., Cancer, Sinus unit Insulin তৎসহ Januvia 100mg, প্রভৃতি রোগীদের জন্য খুবই সহায়ক। Glucobay M-50, Atorvit CV-20, Lan-30, Losar-50 তৎসহ আয়ুর্বেদ, Homeo এই সব রাগ - হিন্দোল/ মারবা – রক্তকে পরিস্কার ও নিয়ে আমি যে কি করে এত সব করতে পারছি তাঁর সুরক্ষিত রাখে। দয়াতে তা আমি নিজেই জানিনা। তা অন্য পরে কা কথা। আমার Pancreas –এর Islets of রাগ - ভূপালী – নিদ্রার সাম্যতা আনে। langerhans কোণগুলো এমন অবস্থায় আছে যে রাগ - চারুকেশী – মনের পুনর্বিন্যাস ঘটায় ঐ high doseএর Insulin নেবার পরও আমার উচ্চভাবে। Blood sugar level 200mgর ওপর থাকে। এই Diabetes তাও ২৫ বৎসর হয়ে গেল। তাও রাগ - দেশ – আধ্যাত্মিক ভাব, প্রেম জাগায়। তো দয়াল আমার ঐ সবগুলোই বহাল তবিয়তেই রাগ - কাফী – অবসাদ, উদ্বেগ দূর করে। চালাচ্ছেন আমায় দিয়ে। তিনি এটাই দেখাতে রাগ – বসন্ত – উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুরোগ, চাইছেন যে তিনি ইচ্ছে করলে যাকে দিয়ে যা ইচ্ছা হৃদরোগীর সহায়ক। করাতে পারেন। এরকম আরো আছে। বিদেশে চিকিৎসা শ্রীশ্রীঠাকুর যে বলেছেন শব্দ ও সুরের প্রয়োগে রোগ ব্যাধি জয় হয় মৃত্যুকে নিরোধ করা যায় বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানীরা, স্নায়ুবিজ্ঞানীরা এই আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণায় তা প্রমাণিত ও তা শারিরীক ও মানসিক ব্যাধির ক্ষেত্রে সাফল্যের সব গবেষণার মাধ্যমে অদ্ভুত ও আশ্চর্য্যজনক সাথে প্রয়োগ হচ্ছে দেশে ও বিদেশে। যেমন, রাগ - পুরিয়া ধানেশ্রী, হংসধ্বনী – এই ফল পাচ্ছেন। Internet এ music ও rag রাগের সুর ও স্বরের কম্পন প্রয়োগে মনের শান্ত, গভীর ভাব আসে, acidity প্রতিরোধ করে। therapy search করলেই জানতে পারবেন। রাগ - বাগেশ্রী – এটাও মনের গভীরতা বাড়ায়, diabetes ও উচ্চ রক্তচাপ রোগের নিয়ন্ত্রণে শ্রীশ্রীঠাকুর শ্রদ্ধেয় কেষ্টদা’কে দিয়ে, গোপাল সহায়ক হয়। দা’কে দিয়ে আরো অন্যান্য দাদাদের দিয়ে রাগ - দরবাড়ী কানাড়া – এটা মনের উদ্বেগ, সেই পাবনা হিমাইতপুর ও পরবর্তীতে দেওঘরে দুশ্চিন্তা দূর করে প্রশান্তি আনে, স্নায়বিক রোগে, অনিদ্রায় উপকারী। বিশ্ববিজ্ঞান কেন্দ্র বানিয়ে, রসৈষণা মন্দির, রাগ - টোড়ী – উচ্চ রক্তচাপ রোগে প্রচণ্ড সহায়ক হয়। শান্ডিল্য বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে এই রাগ - আহির ভৈরব – ধমনীর ক্রিয়ায় সহায়তা ও উচ্চ রক্তচাপে সহায়ক হয়। শব্দবিজ্ঞান, অনাহত শব্দ, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ - মালকোষ – নিম্ন রক্তচাপ সারায়। দুর্ব্বলতা দূর হয়। মানসিক শক্তি ও প্রশান্তি আনে। শাস্ত্রীয় রাগ রাগিণীর সুর ও স্বর বিজ্ঞান, ভেষজ বিজ্ঞান, আলোক তরঙ্গ ও চৌম্বক তরঙ্গ বিজ্ঞান গবেষণার মাধ্যমে সারা পৃথিবী থেকে জরা, ব্যাধি ও মৃত্যুকে জয় করার অদ্ভুত কৌশল আমাদের হাতে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের হীন মনোবৃত্তি ও নির্বুদ্ধিতার কারণে তা আমরা হতে দিইনি। দয়াল ঠাকুর এটা করে দিয়ে যেতে পারলে আজ সারা পৃথিবী চমৎকৃত হয়ে তার সুফল পেত। মনে হলে বড়ই দুঃখ হয়। যাইহোক তিনি এই সকলের সঙ্কেতসূত্র দিয়ে গেছেন। লেখা আছে। ভবিষ্যৎ মানুষ এগুলি কাজে লাগিয়ে অবশ্যই তাঁর স্বপ্ন সফল করবে।
২৩ তা যে কথার সূত্র ধরে বলছিলাম সেই ১৯৭৪ ।এটা আমায় শোনা কথা বা বই পড়ে বুঝতে হয় সাল থেকে ১৯৮৭ সালের শেষ তক এই নি। মহাযুদ্ধের ফল হিসাবে ১৯৮৮ সাল থেকে যেন আমি তাঁর দয়ায় একটা সাবলীল জায়গায় যাইহোক পরম দয়াল শ্রীশ্রীঠাকুর শ্রদ্ধেয় এলাম। কিন্তু আর এক দুর্যোগ এল আমাদের কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্য্য দা’কে বলছেন, এই সৎনামে জীবনে। আমার পিতৃদেব গুরুতর অসুস্থ হয়ে মানুষের চরম বিকাশ হবে। সবটারই সব পড়লেন। দুটো অবিবাহিত বোন, ভাই, সব রকমের পূর্ণ মীমাংসা হবে – আর কিছু জানার পড়াশুনা করছে। আমি বাড়ীর বড় ছেলে। আমার বাকী থাকবে না। এমনই মূল principles মাতৃদেবীর বিশেষ অনুরোধে শ্রদ্ধেয় অনিল দা, মানুষের জানা হয়ে যাবে, যাতে স্থূল দিয়েও সুধীর বোস দা, আমার ঋত্বিক দেব ও আরো সূক্ষ্মকে explain করা যাবে। সব problems যাঁরা ছিলেন তাঁদের সাথে আলোচনা করে আমি practically solved হবে। জীবনের span গিধনী আশ্রম থেকে আমার উপর সৎসঙ্গ office বেড়ে যাবে, মানুষ ক্রমশঃ দীর্ঘায়ু হতে থাকবে। এর যে গুরু দায়িত্ব ছিল তা সুষ্ঠুভাবে তখনকার সময়ের office supdt. শ্রদ্ধেয় আদিত্য নারায়ণ পৃঃ ৯৩, ‘শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র’ – পানি দা’র হাতে লিখিত ভাবে সমর্পণ করে ব্রজগোপাল দত্তরায়। বাড়ীতে এলাম ১৯৮৮ সালের জানুয়ারীর প্রথম আবার ঐ পুস্তকের ৬০ পৃষ্ঠায় বলছেন, “একটা দিকে। সে সব কাগজপত্র এখনও আমার কাছে মানুষের natural death এর পরেই তার সযত্নে রাখা আছে। শুরু হল জীবনের আরেক body cells x-ray দিয়ে irritate করলে, দিকের সংগ্রাম। কারণ ততদিনে আমার পিতৃদেব simultaneously heart beating লোকান্তরিত হয়েছেন আকস্মিকভাবে। সেই সহায় artificially produce করতে পারলে এবং সম্বলহীন অবস্থায় পরম দয়াল কিভাবে যে প্রতি সঙ্গে সঙ্গে খানিকটা Radium inject করে পদে পদে হাত ধরে ধরে পার করেছেন সে আর দিলে তাকে বাঁচানো যায়। ” এক অবিশ্বাস্য কাহিনী। বারান্তরে সে কাহিনী বলা যাবে। যেটা বলছিলাম, ১৯৭৪ সাল থেকে ২৬ পৃষ্ঠায় বলছেন শরীরটা জীবিত রাখতে ১৯৮৭ সালের শেষ তক আমার এই যে আশ্রম গেলে certain amount of energy দরকার। গিধিনীতে গুরু সমাপনে বাস নিয়ত কর্ম্মী হিসাবে নাম করতে করতে যখন শরীরটা নামময় হয় যার হোতা ছিলেন আমার ঋত্বিক দেবতা, দয়াল তখন তার ভেতর ঐ energyটা থাকে। কাজেই ঠাকুর তাঁর মাধ্যমে আর সকল পার্ষদদের সাথে ঐ দেহের energyটা যখন অন্য দেহে যায় যোগাযোগ ঘটিয়ে দিয়ে যে অদ্ভুত অবিশ্বাস্য তখন প্রাণহীনে প্রাণ পায়। যে position এ মৃত্যুঞ্জয়ী যাদুর খেলা দেখালেন আমাকে দিয়ে উঠলে তখন energy হয়, তার অন্য রকম এটা সত্যই মহান যাদুকরের মহান যাদু। যার position হলে চলবে না। কাজেই সব লোক ফলে তিনি আমায় তাঁকে চিনিয়েছেন ও গড়ে দিয়ে ওটা হয় না। পিটে দিয়েছেন একেবারে কঠোর কঠিন আমি রোগী দেখতে গিয়ে মৃতপ্রায় রোগীকে বাস্তবতায়। স্পর্শ করে নামের current দিতাম। কোন কোন রোগী হয়ত মোড়ামুড়ি দিয়ে জেগে উঠত ও সেরে উঠত। লোকে ভাবত আমার ডাক্তারীর গুণে সারাই।
২৪ তবে এই current কোন মানুষের মনের মধ্যে নাম হতে থাকলে তাঁকে স্পর্শ দ্বারাও পাওয়া যেতে পারে। তবে তা সর্বসাধারণের ক্ষেত্রে হবে না। এমন কোন accumulator করা চাই যাতে করে এই subtle vibration কোন মানুষে transmit করা যায়। তাহলে সর্বসাধারণের এই সুবিধা কোন মানুষের সাহায্য ভিন্ন ঐ যন্ত্র সাহায্যেই পেতে পারে। তাহলে এই যে শব্দ ও সুর বিজ্ঞান ও পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে উপযুক্ত সাধনা ও গবেষণার মাধ্যমে জরা, ব্যাধি ও মৃত্যুকে জয় করার যে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধান সূত্র দিলেন তার জন্যই তিনি যুগাবতার ও যুগপুরুষোত্তম । তাই নির্দ্বিধায় প্রার্থনা জানাই তাঁর চরণে – “প্রশ্ন আমার অস্ত যাউক রহুক যুক্তি সর তোমার ব্রত করব পালনমরণ স্তব্ধ করে”।। - শ্রীশ্রীঠাকুর কোন ব্রত কিভাবে করতে হবে তাও বলে দিয়েছেন। এখন বাস্তবে পরিণত করার শুভ দিনের অপেক্ষায়। জয়গুরু। বন্দে পুরুষোত্তমম্।
Search
Read the Text Version
- 1 - 26
Pages: