Important Announcement
PubHTML5 Scheduled Server Maintenance on (GMT) Sunday, June 26th, 2:00 am - 8:00 am.
PubHTML5 site will be inoperative during the times indicated!

Home Explore BS25_banglasahitya.net

BS25_banglasahitya.net

Published by Sourav Mondal, 2022-04-19 14:27:34

Description: BS25_banglasahitya.net

Search

Read the Text Version

পৃষ্ঠা || 201 বাংলার গ্রামীণ দেবীরা প্রধানত এসেছেন পূর্ব ভারতে বসবাসকারী আদি দ্রাবিড়ীয় জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে। ওঁরাও--- ছোটনাগপুরের আদি দ্রাবিড়ীয় জনগোষ্ঠী! এঁদের শিকারের দেবী \"চাণ্ডী\" বাংলায় \"চন্ডী\"! উভয় ক্ষেত্রেই দেবী শিলাখণ্ডে পূজিতা। দক্ষিণ ভারতের উপকূল অঞ্চলের ধীবর শ্রেণীর মান্নান\" গোষ্ঠীর কৌম দেবী---\" বিসলমারী\" বাংলায় \"বাশুলী\"! তামিলনাডুর নাগমাতা \"মন চাম্মা \"বাংলায়\" মনসা\"! কলেরা বসন্তের দেবী \"মারাম্মা\" বাংলায় মঞ্জু বচনের প্রয়োগে মারীগুটি কার দেবী\" শীতলা\"। এই দেবীরা বৃহৎ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পেয়ে অর্ধ র্পৌরাণিক দেবীতে পরিণত হয়েছেন। সংস্কৃত মন্ত্রে ব্রাহ্মণ পুরোহিত তাঁদের অর্চনা করছেন। দেবীর স্থায়ী আবাস গড়ে উঠেছে ---\"মাড়ো-\"---মন্ডপে! দ্রাবিড়ীয় \"মান্ডো\"--\"মার্ডুক\" অর্থ দেবতার আবাস। এভাবেই আর্যপূর্ব জনগোষ্ঠীর দান এই লৌকিক দেব কুল বর্তমানের লোকদেবতা স্তরে উন্নীত হয়ে অর্ধ পৌরাণিক দেবদেবীতে পরিণত হয়েছেন। tতথ্যসূত্র-- লোকভাষ eবাংলা লৌকিক দেবতা --গোপেন্দ্র কৃষ্ণ বসু .nরাঢ়ের গ্রামদেবতা -মিহির চৌধুরী কামিল্যা aদক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত বাংলার লোকায়ত সংস্কৃতি-- বঙ্কিম চন্দ্র মাইতি ityমেদিনীপুরের ধর্ম উৎসব ও মেলা- প্রদ্যুৎ কুমার মাইতি! Banglasah***** www.banglasahitya.net

মহাশ্বেতা একটা গোলাপ নিও কবিতা সুনির্ম ল ঘোষ www.banglasahitya.net

পৃষ্ঠা || 203 মহাশ্বেতা একটা গোলাপ নিও --- সুনির্মল ঘোষ মহাশ্বেতা একটা গোলাপ নিও এখন আর নদীর গান শোনে না কেউ । কল্পনাতে মরচে পড়েছে। সবাই গাইছে গান আপন মনে, প্রেম, ভালবাসা বিকায় হাটে চুপ করে শোনে নদীর ঢেউ। বিবেক মানবিকতা ধূলোয়। লুটিয়ে কাঁদে, চাঁদ দেখে আল্হাদ জাগে না কারোর মনে। পাখিরা এখনো ঘরে ফেরে প্রকৃতি পাল্টায় রূপ। tচাঁদের মাটিতে পা রেখেছে জনগণে। দিন শেষে রাত হলে eকোথায় হারিয়েছে চাঁদের চরকা বুড়ী ? .nখানা_খন্দরে ভরা চাঁদের প্রকৃতি এখনো থাকে নিশ্চুপ। yaধরা পড়ে গেছে চাঁদের সব জারিজুরি। সব হারিয়েছে উর্বি এখন itচাঁদ ছুটছে এখন রেললাইন hধরে লালিমা কালিমা বাঁচাতে। তবুও প্রেমে জেগে থাকে অনন্ত জীবন। saঅরণ্য এখন কাঁদছে ভীষন ফিরিয়ে নাও রোমান্টিকতা। laবৃক্ষ পশুর মায়াতে। কর্কশ জীবনে একটু নুন দিও gসাফ হয়ে যাচ্ছে জল ও জঙ্গল সেতারে আঙুল রেখো। nমানুষ ছুটেছে ধরতে এখন হারিয়ে গিয়েছে যে জীবন Baগ্রহ তারাদের দঙ্গল। তাকে আঙুলের ফাঁকে নিও ভালবাসাকে মরতে দিও না কোথায় হারিয়েছে ঈশ্বরের বাসভূমি ? বিজ্ঞানে ভালবেসো। ফিরছে মানুষ মহাকাশ চুমি মহাশ্বেতা চলে যেও না ধর্মের স্থানে মাথা খুঁড়ে খুঁড়ে মরে। একটা গোলাপ দিও কোথায় ধর্ম ? মানুষ মিশে যায় মহাকলরবে। নয়তো নিও। www.banglasahitya.net

অবজ্ঞায় সুখ সঞ্চয় কবিতা রাণা চ্যাটার্জী www.banglasahitya.net

অবজ্ঞায় সুখ সঞ্চয় পৃষ্ঠা || 205 --- রাণা চ্যাটার্জী অবজ্ঞায় সুখ সঞ্চয় তোমার যে অবজ্ঞা ঝাঁজরা করছে বুক... বুকের ভেতর সবুজ গালিচা পাতা ঘাস হঠাৎ করেই বিবর্ণ, নিষ্প্রাণ ! সেই তুমিটাকেই বাঁচার রসদ করে, ঠাকুরের আসনে বসিয়ে পূজা করি, ধুপ জ্বালাই.., tসাজিভরে ফুল তুলি,মালা গেঁথে সাজাই! eগায়ত্রী মন্ত্র জপ, হাতে-কলমে শেখায় সহিষ্ণু হতে, অবজ্ঞা ভুলতে ভুলতে সেজে ওঠে দেহবাড়ি..। .nঅতীতের সুখ স্মৃতির ঝুমকো লতায় ভেসে আসে yaতোমারই দেখানো পথে সহনশীল হবার মন্ত্র। hitসেদিনের সজ্জিত ফুল রাশি শুকিয়েছে বহুকাল, saতবুও ফুলদানি সযত্নে আমার ভাবনার টেবিলে, laক্যাকটাসে বিদ্ধ হয়েও হাত বাড়িয়ে ফেলি, বারে বারে ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে যুক্তি তর্কের বল্লম। ng\"...একদম বিরক্ত করবে না আমায়,থাকো তুমি নিজের মতো,কেন ম্যাসেজ, বলছি তো চাই না, Baসেই আমি টা মরে গেছে, হ্যাঁ শেষ হয়েছি শুধু দিনের পর দিন অবজ্ঞার জন্য..\" এমন দূরে সরিয়ে দেওয়ার ম্যাসেজে বিদ্ধ হই আজও,ঝেড়ে মেরে উঠে বসি এই বুঝি তুমি কন্ঠ! কিন্তু কোথায় কি.....এক রাশ শুন্যতা,সরে যাওয়ার গ্লানি, পিছু তাড়া করে, আফসোসের হয় পাল্লা ভারী... এই কিনা আমায় চিনলো,পাশে থাকার নাম হলো তাবলে অবজ্ঞা! গুরুত্ব পাচ্ছি না এড়িয়ে যাচ্ছে প্রিয়জন এটা বারংবার ভাবনায় এলে মানসিক চাপ বাড়ে, নির্ভেজাল বন্ধুত্বের উপলব্ধিকে দূরে সরিয়ে অহেতুক দূরত্ব বাড়ানো সমাধান নয় মোটেও। তবে কি নিছক এটা ছিল খেলার ছলে! আজ যখন আমিটা প্রতিটা মুহূর্তে অপেক্ষা,তোমার এড়িয়ে যাওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা, চুঁইয়ে পরছে দেখছি বিরক্তি ফোঁটা ফোঁটা হয়ে..! www.banglasahitya.net

পৃষ্ঠা || 206 বিশ্বাস হয় না, কারণ যে তুমি কে নিয়ে মনের গহন অরণ্যে ভাবনার স্রোত আলপনা এঁকেছে, তাকে চিনতে কিনা এতখানি ভুল হবে!সত্যিই ভরসার এমন দাম পাবো ভাবতে অবাক লাগছে! ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফেরাতে চাই না, সে ফেরায় প্রাণ নেই জেনেও পাল্টে যাওয়া অস্থির তুমি'টার আঘাতে আঘাতে মৌন পথিক আমি পথ হাঁটছি! পিছু তাড়া করে নিজের মনে ওঠে প্রশ্নের বুদ্বুদ, এমন ভালোবাসা তো চাইনি, যেখানে গুরুত্ব পাচ্ছি না এই ক্ষোভে ভেঙে যাবে বন্ধুত্বের মজবুত সাঁকো, ফুল,চন্দন ,আলপনা শোভিত তুলসী মণ্ডপে বসে ভাবুক আমিতে ধেয়ে আসা তোমার বিষাক্ত তীর কুড়িয়ে চলেছি, এ যেন আমার অবজ্ঞাতেই সুখ সঞ্চয়। Banglasahitya.net***** www.banglasahitya.net

ঝরা পাতা কবিতা শাশ্বতী দাস www.banglasahitya.net

ঝরা পাতা পৃষ্ঠা || 208 --- শাশ্বতী দাসজী ঝরা পাতা আমার কাছে ভালোবাসা! সে তো কেবলই যাতনা ময়! আমার কাছে মৃত্যু মানে! তুঁহু মম শ্যাম সমান! আমিও তাদের দলে, যাদের কাছে জীবন মানে বেঁচে থাকার লড়াই! tআমিও তাদের দলে, যাদের তাসের ঘরে বাজে নহবতের সানাই! eআমিও গাছের সেই পাতাটা, যে ঝরে যাবে একটু পরেই; .nআমিও বাঁচতে চাই, আর একটু বাঁচার নেশায়। Banglasahitya***** www.banglasahitya.net

হরিনাথ সরকার যা বলতে পারেননি কবিতা নীতিশ বর্ম ন www.banglasahitya.net

পৃষ্ঠা || 210 হরিনাথ সরকার যা বলতে পারেননি --- নীতিশ বর্মন হরিনাথ সরকার যা বলতে পারেননি হরিনাথ সরকার কী বলে গেছেন তা কারোর মনে নেই,আমরা সবাই আধো ঘুমে আধো জাগরণে তাকাই শূন্য চরাচরে, নিজের ছায়াকেই আজ বড়ো ভয় হয় tআমার সাথে থাকেনা ,মিশে যায় eএকদল হায়নার ভিড়ে,অট্টহাস্যে .nফেটে পড়ে আমাকে দেখে ; yaতখন হরিনাথ সরকার খোঁজেন পায়ের নীচের itহারানো মাটি, বসত বাড়ি, hনিকানো উঠোনে হলুদ মায়াবী পৃথিবী , saকী ভীষণ আর্তনাদ করে ওঠে হরিনাথের স্বপ্নগুলো ! laশরৎ সন্ধ্যায় চন্ডীতলার যে কুহকী বাতাস gবয়ে আনত শীতল আবেগ , ফসলের ঘ্রাণ, nআজ তারই আকাশে ভেসে বেড়ায় পোড়া গন্ধ, Baঅগ্নিদগ্ধ বাস্তু ভিটেটার কথা হরিনাথ বলতে পারেননি ,বলতে পারেননি ভস্মের মাঝে খুঁজে পাওয়া কৌটোর ভেতর সিঁদুরের রঙ কতটুকু কালো ছিল, আর দগ্ধ চৌকাঠে দুর্গার মুখখানা কী ভয়ানক দেখাচ্ছিল ! হরিনাথ সরকার আরো বলতে পারেননি তার সোমত্ত মেয়েটা পালাতে গিয়েও কেন কোনো পথ খুঁজে পায়নি। www.banglasahitya.net

পৃষ্ঠা || 211 হরিনাথ সরকার বলতে পারেননি তুলসীতলায় সাঁঝে দীপহীন স্তব্ধতার আড়ালেও এক মুঠো ছাই কীভাবে হাওয়ায় ভেসেছিল। শুধু সাতপুরুষের ভিটের 'পরে দাঁড়িয়ে নিজেকে শুধিয়েছিলেন- আমার দেশটা কোথায় ! হরিনাথ অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলেন সেই পথে যে পথ মিশে গেছে বিকেলের হাটে নদীর কল্লোল ,কাশেম ,মহিম আর মজিদের সাথে মিশে গিয়ে সময় কাটত মুর্শিদি গান আর কীর্তনে। কাশেমরাও আজ পরাভূত, ওদের আওয়াজও আজ কন্ঠরুদ্ধ .. tও হরি ,হে আল্লাহ ,আজ নিস্তব্ধ চরাচরে eজেহাদি জল্লাদের দল অবিরাম কলুষিত .nকরছে আমার সাত পুরুষের মাটি, আমার ধুলিকণা, aআমার আলো,আমার হাওয়া জলকে, ityহরিনাথ সরকার আরো বলতে পারেননি আগুনের hফুলকির মত অগ্নি শলাকার আঘাতে তার দুচোখে aকেমনতর আঁধার নেমেছিল lasমৃত্যুর আগেও হরিনাথ সরকার বলতেই পারেননি তার ভিটে মাটি তার দেশটা ঠিক কোথায় ছিল ! Bang[ কবি শামসুর রাহমানের ' হরিনাথ সরকার বলছেন ' কবিতাটিকে স্মরণে রেখে।] ****** www.banglasahitya.net

বাংলার সেরা ২৫ প্রথম সংস্করণ ২০২২ BANGLASAHITYA.NET


Like this book? You can publish your book online for free in a few minutes!
Create your own flipbook